খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে খাদ্য সংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই। জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতি অনুসারে দেশে ১০ দশমিক ৫০ লাখ টন খাদ্যশস্য নিরাপত্তা মজুত রাখার কথা থাকলেও বর্তমানে এর চেয়ে বেশি মজুত রয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে (৩০ আগস্ট ২০২২) দেশে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৫৩১ টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। এর মধ্যে ১৭ লাখ ৩৩ হাজার ৩০০ টন চাল, ১ লাখ ৪১ হাজার ১১৮ টন গম ও ১ লাখ ১৭ হাজার ৯৭ টন ধান মজুত রয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী জানান, জি টু জি পদ্ধতিতে রাশিয়া থেকে গম এবং ভারত, মিয়ানমার ও ভিয়েতনাম থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

একই সংসদ সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ১৬.৫২ কোটি মানুষের মোট খাদ্যশস্য গ্রহণের প্রয়োজন ২৩৩ দশমিক ৩৫ লাখ টন। এর মধ্যে ২২১ দশমিক ৪১ লাখ টন চাল ও ১১ দশমিক ৯৪ লাখ টন গম। ২০২১-২২ অর্থ বছরে খাদ্যশস্যের উৎপাদন হয়েছে ৩৮৯ দশমিক ২৯ লাখ টন। যা চাহিদার তুলনায় বেশি।

রুস্তম আলী ফরাজী প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ১৪৫ দশমিক ৮ টন চাল, ১৯ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩৯ দশমিক ৬ টন ভোজ্য তেল, ছয় লাখ ৯৯ হাজার ১২৯ দশমিক ৩ টন পেঁয়াজ ও ৫৪ হাজার ২৩৭ দশমিক ৬ টন রসুন আমদানি করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৭ লাখ ২ হাজার ৬৮৮ দশমিক ৫ টন গম, ২৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪৬৮ দশমিক ৮ টন তেলবীজ, ২৭ লাখ ৮ হাজার ৪৯ টন চিনি, তিন লাখ ৬৩ হাজার ১০৭ দশমিক ৫ টন মশলা, ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৩৯২ দশমিক ৭ টন ডাল, ১২ লাখ ৩৬ হাজার ১৩১ দশমিক ৪ টন ফলমূল, এক লাখ ৫৬ হাজার ২৪৬ দশমিক ২ টন দুগ্ধজাত পণ্য আমদানি করা হয়েছে।

এসআর/এসকেডি