অর্থ ঋণ আদালতে ৫ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন মারুফকে চট্টগ্রামের বাকলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বরে) রাতে বাকলিয়া থানার চাক্তাই এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, অর্থঋণ আদালতে এক মামলায় আদালত মহিউদ্দিন মারুফকে ৫ মাসের কারাদণ্ড ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। 

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স কদর সিন্ডিকেট নামে জনতা ব্যাংক লিমিটেড ফরেন এক্সচেঞ্জ কর্পোরেট শাখা থেকে ঋণ নেন আসামিরা। কিন্তু ঋণ পরিশোধ না কয়ায় ২০০৪ সালে অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ২০০৫ সালে ডিক্রি হয়। ডিক্রিকৃত টাকা নির্দেশিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করায় ২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারি ব্যাংক এ মামলা করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আসামি মহিউদ্দিন মারুফ ও রাশেদ উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়া সত্ত্বে ডিক্রিদার জনতা ব্যাংক কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আসামিদের সর্বশেষ আবাসিক ঠিকানা দাখিল করার জন্য জনতা ব্যাংককে নির্দেশ দেন অর্থঋণ আদালতের বিচারক। এরপর ২০২২ সালের ৩ জুলাই ডিক্রিদার জনতা ব্যাংক আসামিদের হালনাগাদ ঠিকানাসহ দেওয়ানি আটকাদেশ দেওয়ার আবেদন করে আদালতে। শুনানি শেষে অর্থঋণ আদালত ২ জন ব্যবসায়ীকে ৫ মাসের সাজা প্রদান পূর্বক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ দুই আসামির কাছে ব্যাংকের বর্তমান পাওনা ১০ কোটি টাকার বেশি।  

মহিউদ্দিন মারুফ এবং তার সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নামে অর্থঋণ আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। 

কেএম/এসকেডি