কাঠের পাটাতন-দাহ্যপদার্থ, পানির সংকটে দেরিতে নেভে আগুন
প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে/ ছবি: ঢাকা পোস্ট
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের হাসিনা মার্কেটের পাটাতন কাঠের তৈরি। মার্কেটে ছিল প্রচুর দাহ্য পদার্থ। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। আগুন নেভাতে ইউনিট বাড়ানো হলেও ফায়ার ফাইটারদের পড়তে হয় পানির সংকটে। মার্কেটটির সামনে-পেছনে কোথাও পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ পায়নি ফায়ার সার্ভিস। নিজস্ব স্পেশাল গাড়ির পানি ব্যবহার করতে হয় ফাইটারদের। যে কারণে দেরিতে নেভে আগুন।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান ও ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক (ডিডি) দেবাশিষ বর্ধন। পরে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তারা।
বিজ্ঞাপন
যোগাযোগ করা হলে দেবাশিষ বর্ধন ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রথমে যখন আমরা খবর পাই তখনই দুটি ইউনিট পাঠানো হয়। আগুনের ভয়াবহতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউনিট বাড়ানো হয়। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। একে একে আটটি ইউনিট নিয়োজিত করা হয়।
আগুন নিভাতে কেন এক ঘণ্টা সময় লাগল জানতে চাইলে তিনি বলেন, দোতলা মার্কেটটির পাটাতন কাঠের। নিচে দোকান, ওপরে থাকার জন্য ঘর তৈরি করা হয়েছে। প্রচুর দাহ্য পদার্থ ছিল। লেপ-তোশকের দোকানও রয়েছে। ভেতরে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট আছে। যে কারণে খুবই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
বিজ্ঞাপন
মার্কেটের আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার ফাইটারদের পানির সংকটে পড়তে হয় উল্লেখ করে দেবাশিষ বর্ধন বলেন, আমরা প্রথমেই অগ্নিকাণ্ডস্থলে পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ পাইনি। মার্কেট থেকে পানির সরবরাহ সম্ভব ছিল না। আবার সামনে-পেছনে কোথাও পানির সরবরাহ করার মতো ব্যবস্থাও মেলেনি। আগুন নেভাতে গিয়ে পরে যুক্ত হওয়া ৬টি ইউনিটের সাথে একটি করে পানির গাড়িও নিতে হয়। যে কারণে আগুন নেভাতে দেরি হয়। একই কারণে এর আগেও আগুন লেগে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আমরা তাৎক্ষণিক নিরূপণ করতে পারিনি। কেন আগুন লাগলো, আগুনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তদন্ত করে দেখা হবে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ৯টা ৮ মিনিটে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কাঁচা-পাকা টিনসেড আর কাঠের পাটাতনওয়ালা হাসিনা মার্কেটে আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুনে অর্ধ-শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে। আগুনের ফলে আশপাশের মানুষের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক দেখা যায়। সড়কে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা জানান, হাসিনা মার্কেটে প্রায়ই আগুনের ঘটনা ঘটে। দুই সপ্তাহ আগেও মার্কেটের একটি দোকানে আগুন লাগে। এক বছর আগেও আগুনে মার্কেটের তিন শতাধিক দোকান পুড়েছিল।
জেইউ/এইচকে