সম্প্রতি গেজেটেড ঢাকার বিষদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (২০১৬-২০৩৫) ড্যাপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে হেঁটে যাতায়াতের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট আয়োজিত 'ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণ : বিদ্যালয়ে হেঁটে যাতায়াতের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক ভার্চুয়ালি আলোচনায় এ দাবি জানান আলোচকরা।

বক্তারা বলেন, ঢাকা শহরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে একটি শিশুর জন্য একটি ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করায় যানজট সমস্যার মূল কারণ। সম্প্রতি গেজেটেড ঢাকার বিষদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (২০১৬-২০৩৫) স্কুল ডিসট্রিক্ট কনসেপ্টকে কাজে লাগিয়ে যানজট নিরসনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অঞ্চলভিত্তিক মানসম্মত বিদ্যালয় নিশ্চিত করা হবে এবং শিক্ষার্থীরা এলাকার বিদ্যালয়েই শিক্ষা গ্রহণ করবে। এভাবে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে হেঁটে যাতায়াতের সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে যানজট হ্রাসে কার্যকরী ভূমিকা পালন সম্ভব।

আলোচনায় ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক এম এ মান্নান মনির বলেন, প্রতিটি এলাকায় মানসম্মত বিদ্যালয় নিশ্চিত না হওয়ায় অভিভাবকরা সন্তানদের দূরবর্তী বিদ্যালয়ে ভর্তি করেন, যা ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত বৃদ্ধি করে। সমমানের বিদ্যালয় নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, বিষদ অঞ্চল পরিকল্পনায় স্কুল ডিসট্রিক্ট কনসেপ্টকে কাজে লাগিয়ে প্রতিটি এলাকার যানজট নিরসনে অঞ্চলভিত্তিক মানসম্মত ৬২৭টি বিদ্যালয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কনসেপ্টটি বাস্তবায়িত হলে এলাকাভিত্তিক বিদ্যালয় হওয়ায় রাস্তায় যানজট কমে যাবে। শিক্ষার্থীরা পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে পারবে। ফলে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার হ্রাস পাবে এবং জ্বালানি সাশ্রয় সম্ভব হবে। কালক্ষেপণ না করে দ্রুত ড্যাপ বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুল শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জলবায়ু বিপর্যয় একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় কার্বন নির্গমনও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমি প্রতিদিন হেঁটে বিদ্যালয়ে যাই। ব্যক্তিগত গাড়ির গতি ও ধোঁয়ার কারণে প্রতিদিন আমাকে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।

রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ে হেঁটে যাতায়াতের ক্ষেত্রে পার্কিং, ময়লা আবর্জনা, ফুটপাতে দোকানের মালামালসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আমি প্রশাসনের কাছে কঠোর পদক্ষেপ আশা করি। একটি কর্মশালা থেকে আমি শিখেছি, রায়েরবাজার এলাকার অপ্রশস্ত রাস্তায় ফুটপাত দেওয়া সম্ভব না হলেও রোড মার্কিংয়ের মাধ্যমে পথচারীদের জন্য নিরাপদ জোন নিশ্চিত করা সম্ভব।

এএসএস/জেডএস