ঠাকুরগাঁওয়ে শাকিল হত্যা মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীর বংশাল, মোহাম্মদপুর ও ঢাকার সাভার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১০ এর একটি দল।

গ্রেপ্তাররা হলেন— দেলোয়ার হোসেন, মো. হাবিব হোসেন, মো.শামীম হোসেন ও মো. জসিম উদ্দিন। র‍্যাবের দাবি, গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাকিলকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

রোববার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১০ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-১) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান।

তিনি বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াাডাঙ্গী থানায় মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (স.) কটূক্তি করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শাকিল আহমেদ (২৭) নামক এক ব্যক্তিসহ তিনজন গুরুতর আহত হন।  ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন আহতদের চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাকিলসহ তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় মো. সাইদ আলম বাদী হয়ে দেলোয়ার ও শামীমসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে দেলোয়ার ও শামীমসহ তাদের সহযোগীরা আত্মগোপনে চলে যান।

গত ৪ সেপ্টেম্বর আনুমানিক সকাল সাড়ে ৭টায় শাকিল ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শাকিল আহমেদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটিকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন দাখিল করেন।

হত্যাকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে র‌্যাব ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার রাজধানীর আরমানিটোলা এলাকা থেকে দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।

পরে দেলোয়ারের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সাভারের হেমায়েতপুরের ঋষি পাড়া এলাকায় থেকে মো. হাবিব হোসেন, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং সোসাইটি এলাকা থেকে মো. শামীম হোসেন ওরফে সামিউম বাছির ও মো.জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা শাকিলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তারদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র‍্যাবের এ কর্মকর্তা।

এমএসি/আরএইচ