দেশের বিদ্যুৎ খাতের ছয় প্রকল্পের সমস্যায় বিশ্বব্যাংক। এজন্য প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি। বিশেষ করে এ ছয় প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগ, জমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

গতকাল রোববার ও সোমবার বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের প্রকল্পগুলো নিয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস বৈঠক করে। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর প্রকল্প পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিদ্যুৎ খাতের ছয়টি প্রকল্পকে ‘সমস্যাপূর্ণ’ প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের বিষয়ে উভয়পক্ষ একমত হন।

ছয়টি প্রকল্পের মধ্যে বাংলাদেশ পাওয়ার সিস্টেম রিলাইবিলিটি অ্যান্ড ইফিসিয়েন্সি ইম্প্রুভমেন্ট; এনহেন্সমেন্ট অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার নেটওয়ার্ক ইন ইস্টার্ন রিজিওন উল্লেখযোগ্য।

ইআরডি কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ পাওয়া সিস্টেম রিলাইবিলিটি অ্যান্ড ইফিসিয়েন্সি ইম্প্রুভমেন্ট প্রকল্পটি ২০১৭ সালে নেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মূল কাজ শুরু হয়নি। প্রকল্পটির পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের পর তাদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রকল্পের মূল নকশা হবে। এনহেন্সমেন্ট অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার নেটওয়ার্ক ইন ইস্টার্ন রিজিওন শীর্ষক এই প্রকল্পটির ৪৭ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। ২০২৪ সালে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা। কোভিডের কারণে প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ধীরগতি। এছাড়া ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট পুনঃবিদ্যুতায়ন প্রকল্পটি পুনরায় সংশোধন করে বাস্তবায়ন করা হবে।

বর্তমানে ৫৪টি প্রকল্প বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এতে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। সভায় অংশ নেওয়া ইআরডির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের গতি বাড়ানোর জন্য এ সভা হয়েছে। গতি বাড়াতে কী কী করতে হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে কি ধরনের প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক বিনিয়োগ করবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়।

দুই দিনব্যাপী সভায় ইআরডির নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত সচিব আবদুল বাকি এবং বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানড্যান চেন। প্রথম দিনে ইআরডি সচিব শরীফা খাতুন বক্তব্য দেন। ইআরডি সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে অনেকেই অনলাইনে সভায় যুক্ত ছিলেন। 

এসআর/এসকেডি