ভুয়া জমির মালিক ও সাব-রেজিস্ট্রার সাজিয়ে রাজউকের প্লট বিক্রির প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার মো. তুষার মিয়া ও মুক্তা আক্তার / ছবি- সংগৃহীত

ভুয়া জমির মালিক ও সাব-রেজিস্ট্রার সাজিয়ে রাজউকের প্লট বিক্রির প্রতারণার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

তারা হলেন- মুক্তা আক্তার ও মো. তুষার মিয়া। গতকাল সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির ভাটারা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সিটিটিসির ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের ইকোনমিক ক্রাইম অ্যান্ড হিউম্যান ট্রাফিকিং টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. তোহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তোহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার দুজন একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। তারা সুকৌশলে জমির ক্রেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে বিশ্বস্ততা অর্জন করে। প্রথমে একটি বা দুটি জমি সঠিক ও যাচাই-সাপেক্ষে কিনতে সহায়তা করত। পরে বিশ্বস্ততা অর্জন করলে তারা চক্রের অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে ফাঁদ পাতত।

‘তারা পূর্বাচলকেন্দ্রিক রাজউকের বিভিন্ন প্লটের ভুয়া সরকারি বরাদ্দপত্র, অফিস আদেশ, মালিকানা সার্টিফিকেট, বিক্রির অনুমতিপত্রসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র তৈরি করে দেখাত ভিকটিমদের। পরে ভিকটিমরা এসব বিশ্বাস করলে চক্রটির সদস্যরা রূপগঞ্জে একটি অফিসে নিয়ে যেত। সেখানে ইয়ুথ গ্রুপের অফিসে চক্রটির সদস্যরা নিজস্ব লোক দিয়ে ভুয়া মালিক ও সাব-রেজিস্ট্রার দিয়ে রাজউকের বিভিন্ন প্লটের ভুয়া রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত।’

‘পরে ভিকটিমরা প্লটের দাবি করতে গিয়ে দেখেন তারা প্রতারিত হয়েছেন। রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুয়া ছিল। এমনি এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ জুলাই কাফরুল থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের ইকোনমিক ক্রাইম অ্যান্ড হিউম্যান ট্রাফিকিং টিম।’

মামলাটি তদন্তকালে গতকাল সোমবার ভাটারা থানার বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। কাফরুল থানায় রুজু করা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পুলিশি রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে— জানান ওই কর্মকর্তা।

এমএসি/এমএআর/