ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তার হওয়া ফেনীর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সুপারিনটেনডেন্ট গোলামুর রহমানকে ৫ বছরের জেল ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালীর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ.এন.এম. মোরশেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন।

২০০৮ সালের ১৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি করা গার্মেন্টস পণ্য ছাড় করার সময় ঘুষের ৬০ হাজার টাকাসহ দুদকের হাতে গ্রেপ্তার হন গোলামুর রহমান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, নোয়াখালীর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ.এন.এম. মোরশেদ খান আজ আসামিকে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা ও  ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ঘটনার বিবরণে বলা হয়েছে, হাজী সেলিম চট্টগ্রামের একজন ব্যবসায়ী। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গার্মেন্টস পণ্য নিলামের মাধ্যমে কেনেন। গার্মেন্টস পণ্য ২০০৮ সালের ১৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকায় পাঠাচ্ছিলেন। আসামি গোলামুর রহমান ও ইন্সপেক্টর মো. শাহজাহান তার কাভার্ড ভ্যানে থাকা বৈধ মালামালকে অবৈধ ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তা ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। অভিযোগকারী হাজী সেলিম ৬০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন। যা দুদককে অবহিত করার পরে ফাঁদের মাধ্যমে ঘুষ দেওয়ার সময় চট্টগ্রাম দুদকের সরকারী পরিচালক শেখ আব্দুস সালামের নেতৃত্বে হাতেনাতে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

আরএম/এসকেডি