সাভারের বিরুলিয়ার সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজে প্রতিষ্ঠানটির ফ্লোর ইনচার্জ রিপন শেখের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের দ্রুত বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তার স্ত্রী কনা ইসলাম। 

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের গুলিতে আমার স্বামীর বিশেষ অঙ্গ খণ্ড বিখণ্ড হয়ে যায়। তার আর স্বাভাবিক জীবনে ফেরত আসার উপায় নেই। তাকে এ পর্যন্ত ১১ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। আমার স্বামী এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। 

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান। 

কনা ইসলাম বলেন, আমার স্বামী রিপন শেখ সাভারের সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে দীর্ঘদিন ফ্লোর ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৩১ আগস্ট বিকেল ৪টায় সাভার বিরুলিয়া খাগানে অবস্থিত সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতে ভারপ্রাপ্তের দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যান সাবেক এক সেনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে একদল বহিরাগত সশস্ত্র সন্ত্রাসী ইন্ডাস্ট্রিতে হামলা চালায়। এ সময় তাদের ছোড়া গুলিতে আমার স্বামী গুরুতর আহত হন।

তিনি বলেন, এ সময় হামলায় প্রতিষ্ঠানটির প্রডাকশন ম্যানেজার ভারতীয় নাগরিক শ্রী নিভাশ রাও তাল্লরি, ড্রাইভার রফিকুল ইসলাম, ট্রান্সপোর্ট অফিসার জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয় থানা পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। গুরুতর আহত আমার স্বামীসহ অন্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

এ ঘটনায় সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষ থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর সাভার থানায় মামলা করা হয়। বর্তমানে আমার স্বামী রিপন শেখের জীবন সংকটাপন্ন। তিনি সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কনা ইসলামের আত্মীয় এবং অ্যাডভোকেট কাজী শাহানারা ইয়াসমিন।

আইবি/এমএ