ছাত্রজোটের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, ঐ আইনে গ্রেপ্তারদের মুক্তি এবং কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা। সোমবার (১ মার্চ) বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৩ নম্বর গেটের সামনে পুলিশি বাধার ঘটনা ঘটে। 

এসময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ব্যাপক ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পুলিশি বাধার মুখে কর্মীরা সেখানেই সমাবেশ শুরু করেন। পরে ঐ এলাকার যান চলাচল পুরোদমে বন্ধ হয়ে যায়। ১টা ১৫ মিনিটে সমাবেশ শেষ হলে যান চলাচল আবারও স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর আগে সংগঠনটির কর্মীরা দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমবেত হয়ে মিছিল নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে আসতে শুরু করেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত বৃহস্পতিবার লেখক মুশতাককে হত্যা করা হয়েছে। আপনারা দেখবেন জেলখানায় লেখা থাকে রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ। আপনারা কি আলোর পথ দেখালেন মুশতাককে? একজন মানুষ মারা গেলেন, অথচ তিনি জানেন না যে, তিনি অপরাধী না নিরপরাধ।  

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আমাদের একটি শান্তিপূর্ণ মশাল মিছিল ছিল। সেই মশাল মিছিলে পুলিশ হামলা করেছে। আবার পুলিশ প্রেস ব্রিফিং করে বলেছে আমাদের ছেলেরা নাকি তাদের আহত করেছে। পুলিশের কথা মানুষ বিশ্বাস করে না, এটা আমরা জানি। এ মাস থেকে সরকার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে। তারা যে সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছে সেটা আওয়ামী লীগের সুবর্ণ জয়ন্তী, লুটপাটের সুবর্ণ জয়ন্তী। ১৯৭১ সালের পর থেকে এ দলটি বাংলাদেশের মানুষকে নানাভাবে অপমানিত করেছে। আপনারা দেখেছেন ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদেরকে দিয়ে তারা ব্যালট চুরি করিয়েছে।

তারা আরও বলেন, আমরা দাবি করছি লেখক মুশতাকের মৃত্যুর বিচার করতে হবে, ডিজিটাল নিরাপত্তার নামে কাল আইনটি বাতিল করতে হবে এবং সর্বশেষ ৭ জন ছাত্রনেতা এবং একজন শ্রমিক নেতাকে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই আটজন রাজবন্দিকে বিনাশর্তে মুক্তি দিতে হবে। না হলে এই ঘেরাও মিছিল প্রতিবাদ মিছিলে রূপান্তরিত হবে। আমরা আজ সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করছি। তবে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে, তা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে। 

সমাবেশ শেষে রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে এসেছিল। এজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে কোনো ব্যারিকেড ছিল না। তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করেছে। 

এমএইচএন/আরএইচ