সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, চীন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী, গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অংশীদার। চীনের ইউনানের সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিনিময় ও ব্যবসা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ইউনান কমার্শিয়াল রিপ্রেজেনটেটিভ আয়োজিত ‘কালারফুল ইউনান’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুশৃঙ্খল জাতি হওয়ায় চীনারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে। চীন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে পারলে আমরাও দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারব। বর্তমান সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।

কে এম খালিদ বলেন, প্রাচীন দক্ষিণ সিল্ক রোডের একটি অন্তর্বর্তী অঞ্চল হিসেবে ইউনান এমন একটি সাংস্কৃতিক বলয় তৈরি করেছে, যা হাজার বছরের বাণিজ্য এবং বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হয়েছে। ইউনানকে বলা হয় চায়ের মাতৃভূমি। এখানে রয়েছে ২৪০টিরও বেশি প্রাকৃতিক গরম পানির ঝরনা। হাজারেরও বেশি ফুলের চাষের মাধ্যমে সেখানে গড়ে উঠেছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ফুলের বাজার। পর্যটকদের আকৃষ্ট করার সব উপাদানই সেখানে বিদ্যমান। সেজন্য চীনের পর্যটন স্বর্গরাজ্য বলা হয় ইউনানকে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশের আয়তন ৩ লাখ ৯৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার, যা বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় তিন গুণ। জনসংখ্যা প্রায় ৫ কোটি, যা বাংলাদেশের তিন ভাগের এক ভাগ। মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের কারণে প্রদেশটি সারাবিশ্বের ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। যেখানে রয়েছে চিত্তাকর্ষক প্রাকৃতিক দৃশ্য, আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক নিদর্শন এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, বাংলাদেশ দূতাবাস চীনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও ইউনান কমার্শিয়াল রিপ্রেজেনটেটিভ অফিস বাংলাদেশের পরিচালক লি জিয়াও। এ ছাড়া অনলাইনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পিপলস গভর্নমেন্ট অব ইউনানের গভর্নর ওয়াং ইউবো।

এমএইচএন/আরএইচ