ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেছেন, বাংলাদেশে ফার্মাসিস্টদের অবদানের পাশাপাশি তাদের যোগ্য মর্যাদার ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। আমরা দেখেছি, করোনা মহামারিকালে ফার্মাসিস্টরা তাদের দায়িত্বে অবহেলা করেননি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা দায়িত্ব পালন করেছে।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফার্মাসিস্ট ফোরামের উদ্যোগে, বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ফার্মাসিস্ট তার কাজটি করলে চিকিৎসকের কাজ কিছুটা সহজ হয়ে যাবে। তাই সম্মানিত অতিথিদের প্রতি আহ্বান ডিজিটাল বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবাকে উন্নত বিশ্বের মতো সফল করে গড়ে তুলতে হাসপাতালে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দিতে হবে।

বক্তারা ফার্মাসিস্টদের অবদানের পাশাপাশি দেশে ফার্মাসিস্টদের যোগ্য মর্যাদার ঘাটতি তুলে ধরে দুঃখ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, উন্নত বিশ্বের হাসপাতালগুলোতে যেখানে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টরা বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগসহ সকল বিভাগ এমনকি ওয়ার্ডেও সফলতার সঙ্গে চিকিৎসক এবং নার্সদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে, সেখানে ১৯৬৫ সালে ফার্মেসি শিক্ষা চালু হলেও আজও বাংলাদেশে প্রকৃত হসপিটাল ফার্মাসিস্ট (গ্র্যাজুয়েট) চালু হয়নি। তাই দেশের রোগীরা ওষুধ পাচ্ছে ঠিকই কিন্তু তার ভুল ব্যবহার, সঠিক ডোজের অভাবসহ নানা সমস্যায় পড়ছেন।

বক্তারা আরও বলেন, ২০১৬ সালের ওষুধ নীতিতে স্পষ্ট লিখা আছে ওষুধের উৎপাদন, নিয়ন্ত্রণ, সরবরাহ সকল ক্ষেত্রে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট রাখতে হবে, হসপিটালে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে, ওষুধ প্রশাসনে ফার্মাসিস্ট দিয়ে তদারকির কথা বলা হয়েছে। ২০১৮ সালের বাংলাদেশ গেজেটে স্পষ্ট করে তিন স্থানে মেডিকেল কলেজ, হসপিটালে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টের পোস্ট দেওয়া হয়েছে।

আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি হারুন অর রশীদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ, সংগঠনের উপদেষ্টা এম আমিনুল ইসলাম, মো. মেহেদী হাসান, ডা মো. বনি আমিন অপু প্রমুখ।

আইবি/এসকেডি