বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রাক্কলিত জনসংখ্যা, প্রস্তাবিত উন্নয়ন এবং সাম্যতার ভিত্তিতে সবার আবাসন নিশ্চিত করেই কেবল এলাকাভিত্তিক জনঘনত্ব ও এফআর নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় এই দাবি জানানো হয়।

ঢাকা মহানগরীর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (২০১৬-২০৩৫) প্রজ্ঞাপন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট।

আলোচনায় মূল বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ স্থাপতি ইনস্টিটিউটের ড্যাপ বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের কনভেনর স্থপতি ইকবাল হাবিব। ইনস্টিটিউটের পক্ষে তিনি আরও দাবি তুলে ধরে বলেন, ড্যাপে প্রস্তাবিত উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থানের উৎস, সংশ্লিষ্ট উদ্যোগী সংস্থার দায়বদ্ধতা ও বাস্তবায়ন সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক নয় বরং কারিগরি দক্ষ জনবল ভিত্তিক কাঠামো পুনর্গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, কৃষি জমিতে কোনো ধরনের শর্তসাপেক্ষে উন্নয়ন বা ভূমি ব্যবহার পরিবর্তনের সুযোগ সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে। সেই সঙ্গে বন্যা প্রবাহ অঞ্চল এবং নদী কমিশন চিহ্নিত ৬৪টি খালসহ সব জলধার সংরক্ষণ এবং এর উন্নয়নে জিরো টলারেন্স নীতিমালা নিশ্চিত করতে হবে।

স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট মনে করে রাজউক তার বর্তমান কাঠামোর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার মতো বহুমাত্রিক ও কারিগরি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সামর্থ্যবান নয়। আর এজন্য দ্রুতই রাজউককে পেশাজীবী নেতৃত্বে পুনর্গঠন ও পুনর্বিন্যাস করে কিংবা পেশাজীবী নির্ভর একটি ভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে এ পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ঢাকা শহরে এখন যারা আছেন তারাই যেন সুস্থ সুন্দরভাবে নিরাপদে সব নাগরিক সুবিধাসহ থাকতে পারেন প্রথমে সেই ব্যবস্থাই করতে হবে। ঢাকায় মানুষ প্রবেশ আমরা বন্ধ করতে পারছি না, তাই সেবার পরিধি, ব্যবস্থা সেভাবেই করতে হবে। শহরের বর্তমান অপ্রতুল অবকাঠামো এবং সেবা সরবরাহ লাইনকে টেকসই বিনিয়োগের মাধ্যমে উন্নতর ও সম্প্রসারিত করে সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতের মাধ্যমেই মানসম্পন্ন আবাসন সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব। 

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী আওয়াল, রিহ্যাব প্রতিনিধি সোহেল রানা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেম, ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

এএসএস/জেডএস