সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফেসবুক গ্রুপ ও পেজে সার্টিফিকেট ও এনআইডি তৈরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

গ্রেপ্তারের নাম মো. ফয়সাল আহমেদ। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ও চারটি সিম কার্ড এবং প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ছয়টি ফেসবুক আইডি ও শতাধিক ফেসবুক গ্রুপ জব্দ করা হয়েছে।

রোববার (২ অক্টোবর) ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার ডেন্ডাবর পল্লী বিদ্যুৎ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ই-ফ্রড টিম।

সোমবার (৩ অক্টোবর) সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ই-ফ্রড টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার সুরঞ্জনা সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন : যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার আসামিসহ গ্রেপ্তার ২

তিনি বলেন, নিয়মিত অনলাইন মনিটরিং করার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কয়েকটি ফেসবুক গ্রুপ এবং পেজ পরিলক্ষিত হয়। যেসব পেজে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, বিবিএ এবং এমবিএ সার্টিফিকেট প্রদান, বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্ট পরিবর্তন, ফেল করা পরীক্ষার্থীকে পাশ করিয়ে দেওয়া, পলিটেকনিক্যাল কলেজের টিসি প্রদান, পছন্দ মতো পলিটেকনিক্যাল কলেজে ভর্তি, সরকারি পলিটেকনিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ না হলে সরাসরি ভর্তির ব্যবস্থা করবে বলে লোভনীয় পোস্ট প্রদান করত এবং আগ্রহীদের ইনবক্সে যোগাযোগ করতে বলত।

প্রতারক চক্রটি এক থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মসনদ তৈরি, সংশোধনের কাজ করে দেবে বলেও পোস্ট করত। আগ্রহীরা প্রতারক চক্রের ফেসবুকের ইনবক্সে এবং হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে তারা অগ্রিম টাকা নিয়ে সেবাপ্রত্যাশীদের ব্লক করে দিত। এ বিষয়ে ডিএমপির রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ইতোমধ্যে এ মামলায় নাঈম চৌধুরী ও আয়ান খান শান্ত নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তি করে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান সুরঞ্জনা সাহা।

এমএসি/এসএসএইচ