নবমীর দিনে মণ্ডপে দর্শনার্থী-পুণ্যার্থীদের ভিড়
পাঁচ দিনের দুর্গোৎসবের আজ চতুর্থ দিন— মহানবমী। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর পূজা মণ্ডপগুলোতে ছিল দর্শনার্থী-পুণ্যার্থীদের ভিড়।
সকাল ৬টা থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের মণ্ডপে শুরু হয় মহানবমীর আনুষ্ঠানিকতা। দুপুর ১২টার পর আরতি ও পুষ্পাঞ্জলির মাধ্যমে শেষ হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা।
বিজ্ঞাপন
পুরোহিতরা জানান, মহানবমীতে ভক্তদের দেওয়া ষোড়শ উপাচারের সঙ্গে ১০৮টি নীলপদ্মে পূজা হয়েছে দেবী দুর্গার। এ ছাড়া নীলকণ্ঠ, নীল অপরাজিতা ফুল ও যজ্ঞের মাধ্যমে মহানবমীর বিহিত পূজা হয়েছে আজ।
তারা জানান, মহানবমীর দিনে যজ্ঞের মাধ্যমে দেবী দুর্গার কাছে আহুতি দেওয়া হয়। ১০৮টি বেল পাতা, আম কাঠ, ঘি দিয়ে এ যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে দেখা যায়, দেবী দুর্গার প্রতিমার কাছে বসে পুরোহিতরা মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে পূজার কাজ করছেন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঢাকের তাল। অন্যদিকে, দর্শনার্থী-পুণ্যার্থীরা দেবী দুর্গার কাছে প্রার্থনা করছেন, প্রতিমার কাছে এসে মাথা ঠেকছেন।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে দেবী দুর্গাকে ফুলের মালা পরানো হয়। এরপর দর্শনার্থী-পুণ্যার্থীদের মাঝে পুষ্পাঞ্জলির জন্য ফুল বিতরণ করা হয়। আরতি শেষে দেবী দুর্গাকে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার মাধ্যমে শেষ হয় মহানবমীর আনুষ্ঠানিকতা।
মহাষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শনিবার শুরু হয় পাঁচ দিনব্যাপী সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব। বিজয়া দশমী অর্থাৎ বুধবার (৫ অক্টোবর) দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব শেষ হবে। বুধবার সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে দশমী পূজা শুরু হবে, পুষ্পাঞ্জলি হবে সকাল ৮টায় এবং পূজা শেষ ও দর্পণ বিসর্জন হবে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের মধ্যে।
সনাতনী শাস্ত্র মতে, এবার দেবী দুর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় গজে (হাতি) চড়ে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) এসেছেন। অন্যদিকে স্বর্গে বিদায় নেবেন নৌকায় চড়ে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এ বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
এসব মণ্ডপে শারদীয় উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি পূজা উদযাপন কমিটিগুলোও নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে। মণ্ডপে মণ্ডপে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
এএজে/আরএইচ