রাজধানী ঢাকা শহরে নির্মাণাধীন বিভিন্ন অবকাঠামোতে পানি জমে এডিস মশার জন্ম হচ্ছে। এ কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে— মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯ হাজার ৫২৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১৪ হাজার ৭৩৮ এবং ঢাকার বাইরে চার হাজার ৭৮৫ জন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৪ জন। গত ৬ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। যা এ বছরে একদিনের সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯ হাজার ৫২৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১৪ হাজার ৭৩৮ এবং ঢাকার বাইরে চার হাজার ৭৮৫ জন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৪ জন। গত ৬ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। যা এ বছরে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা

জানা গেছে, ২০১৬ সালে সারা দেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হয় ছয় হাজার ৬০ জনের। এর মধ্যে ঢাকায় শনাক্ত হয় ছয় হাজার ২৩ জনের। ঢাকার বাইরে শনাক্ত হয় মাত্র ৩৭ জনের। ২০১৭ সালে ডেঙ্গু শনাক্ত হয় দুই হাজার ৮৮৫ জনের। এর মধ্যে ঢাকায় শনাক্ত হয় দুই হাজার ৭৬৯ জনের, ঢাকার বাইরে ১১৬ জনের। ২০১৮ সালে শনাক্ত হয় ১০ হাজার ১৬২ জনের। ওই বছর ঢাকায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয় ১০ হাজার ১৪৮ জনের, ঢাকার বাইরে ১৪ জনের।

২০১৯ সালে ডেঙ্গু শনাক্ত হয় এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জনের। এর মধ্যে ঢাকায় শনাক্ত হয় ৫১ হাজার ৮১০ জনের, ঢাকার বাইরে ৪৯ হাজার ৫৪৪ জনের। ২০২০ সালে সংক্রমণ কম হয়। ওই বছর ডেঙ্গু শনাক্ত হয় এক হাজার ৪০৫ জনের। এর মধ্যে ঢাকায় শনাক্ত হয় এক হাজার ২২৪ জনের, ঢাকার বাইরে ১৮১ জনের।
 

গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ আবার বেড়ে যায়। শনাক্ত হয় ২৮ হাজার ৪২৫ জনের। এর মধ্যে ঢাকায় শনাক্ত হয় ২৩ হাজার ৬১৩ জনের, ঢাকার বাইরে চার হাজার ৮১২ জনের।
 
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুস সবুর খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বছর বর্ষাকাল ও শীতকাল পেছাচ্ছে। এখন মাঝে মধ্যে একটু বৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে থাকছে। এর চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, ঢাকা শহরে প্রচুর কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছে। বাসাবাড়ি বা ফ্ল্যাট বলুন, ফ্লাইওভার বা রাস্তাঘাট যা-ই বলুন না কেন, যেখানে কনস্ট্রাকশনের কাজ হয় সেখানেই পানির ব্যবহার আছে। ছোটোখাটো পানি জমে থাকার গল্প থাকে। সেখানে প্রচুর মশা থাকে।
 
এডিস মশার ঘনত্ব বেশি যেখানে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ববিদ ও গবেষক ড. কবিরুল বাশার ঢাকা পোস্টকে বলেন, এডিস মশা জন্মায় পাত্রে থাকা জমা পানিতে। কোনো পাত্রে সাতদিন পানি জমে থাকলে সেখানে এডিস মশার জন্মানোর সম্ভাবনা থাকে। গত কয়েক বছরে গবেষণায় আমরা দেখেছি, ঢাকা শহরে নির্মাণাধীন ভবনের বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানি, লিফটের গর্ত, টাইলস ভেজানোর চৌবাচ্চা, ড্রাম, বালতি, ওয়াসার মিটার রাখার জায়গা ইত্যাদি স্থানে এডিস মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। এছাড়া দইয়ের পাত্র, পানির জার, ভাঙা কমোড, বেসিনসহ যেকোনো ছোট-বড় পাত্র যেখানে দুই সেন্টিমিটার পানি জমা হতে পারে সেখানেই এডিস মশার প্রজনন হতে পারে।

দ্বিমত স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আসলে ওটাতে (নির্মাণাধীন অবকাঠামোতে এডিস মশার প্রজনন) কম হবে। তারা কোথা থেকে এ কথা বললেন, তা আমি জানি না। বিষয় হলো, যেখানে মানুষের সংখ্যা বেশি নয় অথবা পরিষ্কার পানি নয়, সেখানে এডিস মশা সার্ভাইভ করে না বলে সারা পৃথিবী থেকে প্রাপ্ত তথ্যপত্রে দেখা গেছে। যেখানে পরিষ্কার পানি জমা থাকে, সাধারণত সেখানে এগুলো (এডিস মশা) হয়।’ 

২৭টি ওয়ার্ড অধিক ঝুঁকিপূর্ণ
 
সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপে দেখা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৩টি ওয়ার্ড বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সেগুলো হলো- ১, ১১, ১৪, ১৬, ১৯, ২০, ২১, ২৪, ২৮, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৯নং ওয়ার্ড। জরিপে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনেরও (ডিএসসিসি) ১৪টি ওয়ার্ড অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে উঠে এসেছে। এলাকাগুলো হলো- ৭, ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ৩৪, ৩৮, ৩৯, ৪১, ৪২, ৪৮, ৫১নং ওয়ার্ড।

জরিপ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ডিএনসিসির ৪০ ওয়ার্ডের ৪৮টি অঞ্চল এবং ডিএসসিসির ৫৮টি ওয়ার্ডে ৬২টি অঞ্চলসহ মোট ১১০টি অঞ্চলের তিন হাজার ১৫০টি বাড়িতে সার্ভে পরিচালনা করা হয়। ২১টি দলের মাধ্যমে ১০ দিনব্যাপী গবেষণা পরিচালনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রতিটি দল অন্তত ১৫টি অঞ্চল সার্ভে করে। 

জরিপে পাওয়া ফলে দেখা গেছে, ১৫৯টি বাড়িতে ডেঙ্গুর ফল পজিটিভ এসেছে। এর মধ্যে ৬৩টি বাড়ি ডিএনসিসিতে এবং ৯৬টি বাড়ি ডিএসসিসিতে অবস্থিত।

ডেঙ্গুর চতুর্থ ভাইরাসে হচ্ছে সংক্রমণ

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মোস্তাক হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুর চারটি ভাইরাস পাওয়া গেছে। এখন ডেঙ্গুর চতুর্থ ভাইরাসে মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। এটা বাংলাদেশে আগে খুব একটা ছিল না। যারা আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, নতুন ভাইরাসে তারাও আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের অবস্থা খারাপ হচ্ছে এবং মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি হচ্ছে। যারা আগে আক্রান্ত হননি তারাও আক্রান্ত হচ্ছেন।

রোধ করার উপায়

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুস সবুর খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোগী যদি বেশি থাকে, সেই রোগী আবার বেশি রোগীর জন্ম দেয়। কারণ, মশা রোগীকে কামড়ানোর পর আরেকজনকে কামড়ালে তারও একই অসুখ হবে। যদি ডেঙ্গু রোগী কম থাকত, তাহলে সংক্রমিত হতো কম। এছাড়া মশার সংখ্যাও বেশি। এজন্য রোগীও বেশি হবে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত সব রোগীকে চিকিৎসার আওতায় এনে মশারির ভেতরে রাখতে হবে। এটা করলে মশা আর ডেঙ্গু রোগীকে খুঁজে পাবে না। তাহলে আর কামড়ও দিতে পারবে না এবং একজন থেকে আরেকজনকে সংক্রমিতও করতে পারবে না।
 
কীটতত্ত্ববিদ ও গবেষক ড. কবিরুল বাশার বলেন, সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে ভাগ করে ১০টি দল গঠন করে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন। ১০টি দলের প্রতিটিতে স্থানীয় তরুণ সমাজকে দায়িত্ব দিয়ে তাদের সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের মশকনিধন কর্মীদের যুক্ত করতে হবে। প্রতিটি দলকে নিশ্চিত করতে হবে যেন তার ব্লকে কোনো এডিস মশা জন্মানোর পাত্র না থাকে। প্রতিটি ব্লকের ডেঙ্গু পরিস্থিতি মনিটরিং ও ইভ্যালুয়েশনের জন্য সিটি কর্পোরেশনের একটি সেন্ট্রাল টিম থাকতে পারে। যে ব্লকে ডেঙ্গু রোগী সবচেয়ে কম হবে তাদের পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে কাজে উৎসাহিত করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া মশা নিয়ন্ত্রণে সফল হওয়া যাবে না। তাই এ প্রক্রিয়ায় জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে সামাজিক সংগঠনগুলোকে উদ্বুদ্ধ করে এ কাজ করানো যেতে পারে। ডেঙ্গু এমন একটি সমস্যা যেটিকে সরকার বা সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। পৃথিবীর কোনো দেশই জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সফল হয়নি।

আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ডা. মোস্তাক হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন নগর ছাড়িয়ে উপজেলাতেও ডেঙ্গু চলে গেছে। বড়-বড় নগরগুলো ডেঙ্গুমুক্ত করার জন্য জনগণকে সম্পৃক্ত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো দরকার। যেখানে পানি জমছে সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে। শুধুমাত্র কীটনাশক ছিটালে হবে না। কারণ, কীটনাশক তো সব জায়গায় পৌঁছাচ্ছে না।
 
‘কলকাতা, ব্যাংকক, সিংগাপুর— এসব জায়গায় কিন্তু ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছিল আমাদের মতোই। এখন সেসব জায়গায় সংক্রমণ কম হয়। হলেই সঙ্গে-সঙ্গে তারা ব্যবস্থা নেয়।’
 
ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, আমরা যা-ই করি না কেন, সবই অস্থায়ী ব্যবস্থা। কীটনাশক ছিটিয়ে কমানো যাবে কিন্তু আবারও পাশের এলাকা থেকে ওই জায়গায় চলে আসবে। তাই এটি অস্থায়ী ব্যবস্থা, মশারিও অস্থায়ী ব্যবস্থা। এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র যদি ধ্বংস করতে হয়, একেবারেই যুদ্ধকালীন ব্যবস্থা নিতে হবে। যুদ্ধকালীন সবাই ট্রেনিং নেয় এবং কাজ করে। এক্ষেত্রেও সেভাবে কাজ করতে হবে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বছর এখনও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টি হলে বাসাবাড়িতে পানি জমে থাকে। ফলে এডিস মশার জন্ম হয়। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যেন নিজ বাসাতে ডেঙ্গুর উৎপাদন না হয়। বিশেষ করে আবাসিক এলাকাগুলোর ছাদবাগানে যাতে পানি না জমে সেদিকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে।

‘ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। কারণ, হাসপাতালে থাকলে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণ আর সেবার মধ্যে থাকে। এতে রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকিটা কমে যায়।’

কী ব্যবস্থা নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্মাণাধীন ভবন ইস্যুতে আমরা জুন মাস থেকেই কাজ করছি। রিহ্যাবের সঙ্গে মিটিং করেছি, তাদের বলেছি। বিভিন্ন ভবনে নিয়মিত যাই, গিয়ে তাদের মোটিভেট করার চেষ্টা করি। নাহলে জরিমানা করি। পানি না জমানোর জন্যও বলা হয়। এটা চলমান আছে। এখন যেহেতু সংক্রমণ বেড়ে গেছে, আমরা এ বিষয়ে আরও বেশি জোর দিয়ে কাজ করছি। সরকারি চাকরিজীবীরা চারদিন ছুটি কাটাচ্ছে, আমরা কিন্তু ছুটিতে নেই। আমরা মাঠেই আছি, কাজ করছি। যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি, সে এলাকায় আমরা বেশি নজর রাখছি।
 
‘নির্মাণাধীন ভবন ছাড়াও অনেকের বাসার ভেতরে এডিস মশা জন্মাচ্ছে। বাসায় ছোট-ছোট জায়গায় পানি জমে থাকে এবং সেখানে লার্ভাও বেশি পাচ্ছি। এডিস মশা কিন্তু বাইরে ঘুরে বেড়ায় না। এটা আমাদের ঘরের ভেতরে তৈরি হয় এবং ঘরের ভেতরেই কামড়ায়। সিটি কর্পোরেশন তো বাসার ভেতরে কাজ করে না। আমরা যা করি বাসার বাইরে, নালা-নর্দমা, খাল-বিলে। ওই সব জায়গায় কিন্তু এডিস মশা হয় না। এজন্য দরকার নাগরিক সচেতনতা।’
 
সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে 

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। এ বিষয়ে একাধিক সভা করা হয়েছে এবং ফলোআপও রাখা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রমগুলো নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। জনসচেতনতার জন্য আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।  

‘আমি দেশের বাইরে ছিলাম। আজ ফিরলাম। বাইরে থাকাকালীন এ ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়ার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও আমি একটা সভা করেছি। তারা নতুন একটা কৌশলের কথা বলেছেন। সেটা দিয়ে এটাকে কমানো যাবে। সবমিলিয়ে ইস্যুটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

এসএইচআর/এসকেডি/এমএআর