২৯ প্রতিষ্ঠান নিয়ে ‘অস্পষ্টতা’ কাটেনি, প্রজ্ঞাপন সংশোধনের আহ্বান
২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণায় সৃষ্ট ‘অস্পষ্টতা’ কাটেনি বলে উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনটি সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সোমবার (১০ অক্টোবর) টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ আহ্বান জানান।
টিআইবি বলছে, ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর তালিকা প্রশ্নবিদ্ধ’ শীর্ষক প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে টিআইবি গত ৪ অক্টোবর বিবৃতি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ গত ৯ অক্টোবর ব্যাখ্যা দেয়। তবে ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণায় সৃষ্ট অস্পষ্টতা আইসিটি বিভাগের ব্যাখ্যার মাধ্যমে কাটেনি।
বিজ্ঞাপন
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রজ্ঞাপনে তথ্য কাঠামোর নামে প্রতিষ্ঠানসমূহকেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, যা প্রশ্নবিদ্ধ। এমনকি তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৫ ধারার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারা ১৬ (৩) এর আওতায়, প্রজ্ঞাপনে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ সম্পর্কে কোনো প্রকার তথ্য সংগ্রহ, তথ্য প্রকাশ ও মত প্রকাশ ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির বিবেচনায় ‘হুমকিস্বরূপ ও ক্ষতিকারক’ বিবেচিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিষয়টি তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।
তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনটি সংশোধন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানসমূহের শুধুমাত্র কম্পিউটার সিস্টেম ও নেটওয়ার্ককে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করা উচিত এবং তা যৌক্তিক বলে বিবেচিত হবে।
বিজ্ঞাপন
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, যুক্তি হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলা হলেও, জাতীয় সংসদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার সিস্টেম ও নেটওয়ার্ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর তালিকায় স্থান পায়নি। ঠিক কোন যুক্তিতে বা নীতিমালার ভিত্তিতে কেবল ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হলো, তা স্পষ্ট নয়। এ কারণেও বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ।
আরএম/আরএইচ