নির্বাচন ভবনে মতবিনিময় সভায় দেশের ৬১ জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) হইচইয়ে বিব্রত হয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। তবে এ ঘটনায় তিনি বিচলিত নন বলে জানিয়েছেন। 

রাশেদা সুলতানা বলেন, ইসি আনিছুরের কথা উনাদের ভালো লাগেনি, তবে কথাগুলো সত্য এবং অমূলক নয়। 

সোমবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভববে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

জেলা পরিষদ ও গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনসহ দ্বাদশ ভোটেরও মাঠের পরিস্থিতি জানতে দেশের ৬১ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে গত শনিবার ঢাকায় বৈঠক করে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠান। সেখানে গত ভোট ও জেলা পরিষদ ভোটে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিষয়টি বক্তব্যে তুলে ধরেন ইসি আনিছুর রহমান। তখনই সভা কক্ষে হইচই সৃষ্টি হয়। ডিসি এসপিদের আপত্তির মুখে সেই কমিশনার তার বক্তব্য শুনতে তারা (মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা) ইচ্ছুক কি না জানতে চান। জবাবে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা নেতিবাচক সাড়া দিলে বক্তব্য থামিয়ে চলে যান তিনি। 

আরও পড়ুন : ভোটারের গোপনীয়তা লঙ্ঘন হলে ভোট বন্ধের নির্দেশ

এ বিষয়ে আজ রাশেদা সুলতানা বলেন, হইচই করাটা তাদের ঠিক হয়নি। এটা সত্য কথা। পরিবেশটা তৈরি হওয়াটা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। সাময়িকভাবে বলবো মনে একটু খারাপ লাগছে। বিব্রত তো বটেই, কারণ ওরকম একটা ঘটনা কে চায়? মাথার মধ্যেই তো আনতে পারিনি ওরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি হবে। যেটা গেছে গেছে, ওটা নিয়ে আমরা এত বিচলিত না। বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। 

শনিবারের ঘটনার পর ইসি আনিছুরের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে আজ দুপুরে ইসি আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ডিসি-এসপিদের সাথে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সুযোগ নেই। সহকর্মীর সাথে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় বিব্রত ইসি রাশেদা।

ডিসি এসপিদের সাথে নির্বাচব কমিশনের কোনো বিতন্ডা জানিয়ে তিনি বলেন, 'এটা নিয়েই গোটা দেশ মাতামাতি। সবাই এটা নিয়ে সোচ্চার।'

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র ও সেবা সুরক্ষা বিভাগে চলে যাওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিশনের আসলে উদ্যোগ নেওয়ার স্কোপ নেই। এই প্রক্রিয়া আমাদের সময়ে শুরু হয়নি। আমরা এন্ডিং অবস্থায় পাচ্ছি। বিষয়টা পুরোটাই সরকারের পলিসির ব্যাপার। আমি বলবো না ভালো হবে বা মন্দ হবে। যাওয়ার বিষয়টা আমাদের সময়ে কিছুই হয়নি। যা কিছু ঘটার আগেই ঘটে গেছে। 

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন যথাসময়ে হবে উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, যেখানেই নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত হবে আমরা নির্বাচন বন্ধ করে দেবো। এটা পরিষ্কার কথা।

এসআর/এনএফ