যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, কিছু কর্মকর্তার অসহযোগিতা ও দুর্নীতির কারণে প্রধানমন্ত্রীর বেনারসি শ্রমিকদের কল্যাণে নেওয়া উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাঁত শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাঁতিদের বিভিন্ন সমস্যা ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দেন তিনি।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বেনারসি পল্লী তাঁতি বাস্তবায়ন সমিতি আয়োজিত এক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, বিয়ের মতো একটি পবিত্র অনুষ্ঠান আমরা কল্পনাও করতে পারি না বেনারসি শাড়ি ছাড়া। এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে তাঁত শ্রমিকেরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ব্রিটিশ শাসন আমল থেকে তাঁত শিল্পকে নানাভাবে বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এখনও কিছু সুবিধাবাদী লোক এই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আবার কাজ করব। বেনারসি শ্রমিকদের দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করব।

দুর্নীতির কারণে যেন তাঁত শিল্পের মতো কাজ মুখ থুবড়ে না পড়ে সেজন্য পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষের কষ্ট হয় এমন কাজ প্রধানমন্ত্রী কখনোই করেননি। যখনই বিশ্বে নিত্যপণ্যের দাম কমেছে তখনই তিনি দাম কমিয়ে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা কখনো জনগণের অকল্যাণ হয় এমন কাজ করবেন না।

সমিতির সদস্যদের কিছু মৌলিক চাহিদা বাসস্থান, খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও পুনর্বাসনসহ বেনারসি পল্লীর তাঁতিদের অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাজী আব্দুস সাত্তার। তিনি বলেন, বেনারসি পল্লীর তাঁতিদের জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে যেমন জামালপুরে নকশী কাঁথা তাঁতি পল্লী ও মাদারীপুরের শিবচরে বেনারসি পল্লী প্রকল্প গঠন করার প্রস্তাব ঘোষণা করা হয়েছে। মিরপুর ভাষানটেক ঢাকা বেনারসি পল্লী প্রকল্পে ৯০৬ প্লট রয়েছে। এই প্রকল্পে বেনারসি পল্লী তাঁতি বাস্তবায়ন সমিতির নামে ৬০০টি প্লট যাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই প্লটের সুব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।

সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুল হক আক্কাস, তাইজুল ইসলামসহ বেনারসি শ্রমিক নেতারা। 

আইবি/এসএসএইচ