মন্ত্রীর দায়িত্ব পেলে রেলের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দূর করতে পারবেন বলে রেলমন্ত্রীকে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ও রেলের মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনায় তিনি নিজের এ আত্মবিশ্বাসের কথা জানান।

পরে মন্ত্রীর সঙ্গে হওয়া আলোচনার বিভিন্ন বিষয় সাংবাদিকদের জানান রনি।

মহিউদ্দিন রনি বলেন, রেলমন্ত্রী বলেছেন, আমার দাবিগুলো এক মাস, তিন মাস, ছয় মাস কিংবা এক-দুই বছরেও বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।

মন্ত্রী তাকে রেলের নানা সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা আছে বলে জানান।

রনি বলেন, তিনি রেলের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। আমি বললাম, ‘জনগণকে এটা বলুন, নয়ত সমাধান করে দিন।’ তখন তিনি বললেন, ‘তুমি আমার চেয়ারে বসো।’ তখন আমি বললাম, ‘আমি আপনার চেয়ারে বসলে এটা করে দেখাব’।

এরপর রেলমন্ত্রী আর কিছু না বলে অন্য প্রসঙ্গে চলে যান বলে দাবি করেন রনি।

রেলমন্ত্রীর চেয়ারে বসলে সমস্যা সমাধানে আপনার কতদিন সময় লাগবে- সাংবাদিকদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে রনি বলেন, তিনি (মন্ত্রী) দুই বছরের কথা বলেছেন, যে এর মধ্যে সম্ভব নয়। আমি এই দুই বছরেই করে দেখাব। যদি আমার দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে না পারে, দুই বছর আমাকে দায়িত্ব দিক; আমি এটা করে দেখাব।

রেলমন্ত্রী ও মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে মহিউদ্দিন রনি বলেন, আমি সন্তুষ্ট নই। আমি তাদের বলেছি, যে কথাগুলো আমাকে বারবার বলছেন, সেগুলো জনগণকে বলে দিন। আমি আর কিছুদিন অপেক্ষা করব। এরমধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আবারও আন্দোলনে নামব।

তিনি বলেন, মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন, তোমার দাবিগুলো এভাবে না বলে আমাকে সরাসরি এসে বলতে পারতে। কিন্তু আপনারা তো জানেন, রেল ভবনে আমাকে ঢুকতেই দেয়নি তারা। এমন একটা প্রতিকূল অবস্থা তারা তৈরি করেছিল যে পারলে মেরেই ফেলে।

গত ৭ জুলাই রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবিতে নিজের হাতে দুই হাতে শিকল বেঁধে কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। তার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন অনেকে।

অনেক নাটকীয়তার পর রেলের পক্ষ থেকে তার দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। পরে তাকে রেলওয়ের অংশীজন কমিটিতেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এনআই/এমএইচএস