পথশিশু উৎসব-২০২২
মনের মাধুরী মিশিয়ে ছবি আঁকছে সোনামণিরা
রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্কে চলছে পথশিশু উৎসবের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। উৎসবে ছোট সোনামণিরা মনের মাধুরী মিশিয়ে বিভিন্ন রকম ছবি আঁকছে। এমন বড় পরিসরে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে পথশিশুরা বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিট থেকে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন পার্কে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। উৎসবে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজপোর্টাল ঢাকা পোস্ট.কম।
বিজ্ঞাপন
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় দেখা যায়, সকাল থেকে শুরু হওয়া জুম বাংলাদেশ পথশিশু উৎসবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মসূচি ও খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে দিন পার করছে সোনামণিরা। জুম বাংলার বিভিন্ন স্কুল শাখার প্রায় ৫০০ শিশু এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে।
জুম বাংলার হাতিরঝিল শাখার শিক্ষার্থী সাঞ্জু প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে সে অনেক খুশি।
বিজ্ঞাপন
সাঞ্জু জানায়, সকাল থেকে বিভিন্ন খেলাধুলাসহ নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সে অংশ নিয়েছে। তার ছবি আঁকতে খুব ভালো লাগে, তাই সে রং পেন্সিল দিয়ে ছবি আঁকছে।
সে আরও জানায়, এতো মানুষের সঙ্গে আগে কখনো এমন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেনি। এভাবে সবার সঙ্গে বসে ছবি আঁকতে পেরে তার খুব ভালো লাগছে।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, প্রতিযোগিতা শেষে দেওয়া হবে পুরস্কার। কয়েকটি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের পুরস্কৃত করা হবে।
উল্লেখ্য, সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জুম বাংলার ইয়ুথ ফাউন্ডেশন পরিচালিত পথশিশু স্কুলের শিশুদের পার্কে লাল রঙের টি-শার্ট পরিয়ে নিয়ে আসা হয়। শুরুতে সকালে জুম বাংলার পক্ষ থেকে নাস্তা করানো হয়। তারপর মুক্ত মঞ্চে শুরু হয় কবিতা পাঠ ও একক সংগীত পরিবেশনের অনুষ্ঠান। পরে বেলা ১১টা থেকে মুক্ত মঞ্চে শুরু হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মূলত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর শিশুরা নাচ গানের আনন্দে মেতে ওঠে।
এ বিষয়ে জুম বাংলার শিক্ষা প্রজেক্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্ব পথশিশু দিবস উপলক্ষে আমাদের স্কুলে পড়া পথশিশুদের নিয়ে মূলত আজকের দিনটিকে আমরা উদযাপন করছি বিভিন্নভাবে। পথশিশুরা সাধারণত খেলাধুলা বা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় না। আজকের এই দিনে আমরা তাদেরকে এই সুযোগটাই দিতে চাই এবং তারা যেন প্রাণভরে খেলাধুলা করতে পারে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারে।
এমএসি/জেডএস