চাকরি স্থায়ীকরণ, আউটসোর্সিং প্রথা বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ রেলওয়েতে নিয়োগ পাওয়া অস্থায়ী শ্রমিকরা (টিএলআর)। টানা চার দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসলেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া পাচ্ছেন না তারা।

৬ দফা দাবিতে সারাদেশের বিভিন্ন বিভাগ থেকে আসা রেল শ্রমিকরা কমলাপুর স্টেশনের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

পাকশী ডিভিশন থেকে আসা গেট কিপার বেলাল বলেন, চাকরির বয়স শেষ, স্থায়ী হওয়ার আশায় কোথাও আবেদন করিনি। পরিবারের ৪-৫ জন সদস্য সবাই আমার উপর নির্ভরশীল। আমার আয়ে গোটা পরিবার চলে। এখন আমি পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যাব, কী করব সেই দুশ্চিন্তায় থাকি।

লালমনিরহাট ডিভিশনের পি ম্যান জাকির হোসেন জুয়েল বলেন, পাঁচ বছর হলো চাকরি করছি তিন বছর পর স্থায়ী করার কথা কিন্তু করছে না। আমাদের ইতিমধ্যেই বসিয়ে দিয়েছে, আমরা এখন কোথায় যাব, কী করব? তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি। গত পাঁচ মাস ধরে বেতন বন্ধ, এ অবস্থায় আমাদের খোঁজ খবর নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।

পাকশী ডিভিশনের পয়েন্টসম্যান মিজানুর রহমান বলেন, আমার চাকরির বয়স শেষ, পচা ডিমের মতো অবস্থা হয়েছে এখন আমাদের। করোনার মধ্যে আমি পুরো স্টেশনে একা দায়িত্ব পালন করেছি। অথচ কর্তৃপক্ষের কাছে এমন কাজের কোনো স্বীকৃতি পাচ্ছি না।

পাকশী ডিভিশন অস্থায়ী শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সনাতন কুমার বিশ্বাস বলেন, আমাদের সকলকে চাকরিচ্যুত করে আউটসোর্সিংয়ে নতুন লোকবল নিয়োগ দেবে কর্তৃপক্ষ। এ বয়সে এসে চাকরি হারিয়ে আমরা এখন কোথায় যাব, কী করব? প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, আমাদের বিষয়টি তিনি মানবিকভাবে বিবেচনা করবেন।

গোপালগঞ্জের গেটম্যান নান্নু কাজি বলেন, তিন বছর হলে চাকরি স্থায়ী করতে ২০২১ সালে মন্ত্রী ডিজিকে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি হলেও পরে এর অগ্রগতি হয়নি।

একেইউ/এসকেডি