ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং দেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলায় একযোগে আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এখন যে পূর্বাভাস আছে ১৯টি (উপকূলীয়) জেলাই ঝুঁকিপূর্ণ। গত ৩ বছরে যে ঘূর্ণিঝড়গুলো হয়েছে তার চেয়ে এটির আঘাত হানার এরিয়া অনেক বেশি।’

সচিবালয়ে রোববার (২৩ অক্টোবর) ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং ইস্যুতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী এর অবস্থান হলো ৮৮. ৫ দ্রাঘিমাংশ এবং ১৬ অক্ষাংশ। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এটি ৮৭ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশ এবং ১৭ ডিগ্রি অক্ষাংশের সংযোগস্থলে পৌঁছার পর সরাসরি উত্তর-পূর্ব দিকে টার্ন নিতে পারে। যদি উত্তর-পূর্ব দিকে টার্ন করে তাহলে যে গতিপথ দেখানো হয়েছে এটি একেবারে কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরা- উপকূলের সব (১৯টি) জেলায় আঘাত হানতে পারে।’

আরও পড়ুন : জলবায়ু পরিবর্তন : তলিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের ১৩ শতাংশ ভূমি

আর যদি এখন যে ডিরেকশন আছে, উত্তর-পশ্চিম দিকে যাচ্ছে, তাহলে এটি ভারতের ভুবনেশ্বর ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানবে। এখন পর্যন্ত এটাই আমাদের শেষ আপডেট, বলেন মন্ত্রী।

এনামুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এখনো বলছে, সন্ধ্যায় (রোববার) এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে এবং আঘাত হানার সম্ভাব্য সময় বলছে ২৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার)। ২৪ অক্টোবর (সোমবার) দিবাগত রাতের পর থেকে ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘যেভাবে ম্যাপিং করা হয়েছে একেবারে কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত আমাদের ৭৩০ কিলোমিটার উপকূল সম্পূর্ণরূপে আক্রান্ত হবে।’ 

এটা সুপার সাইক্লোন হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা সিভিআর সাইক্লোন পর্যন্ত হবে। গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।’

তিনি বলেন, ‘এটা এখনো ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়নি, সন্ধ্যায় হবে। রূপান্তরিত হলে তখন এর নামকরণ করা হবে সিত্রাং। এখন পর্যন্ত নামকরণ করা হয়নি।’

ঝুঁকিতে থাকা দেশের উপকূলীয় ১৯ জেলা

১. খুলনা  ২. সাতক্ষীরা  ৩. বাগেরহাট  ৪. পটুয়াখালী  ৫. বরগুনা  ৬. ভােলা  ৭. পিরােজপুর  ৮. বরিশাল  ৯. ঝালকাঠি  ১০. নােয়াখালী  ১১. লক্ষ্মীপুর  ১২. ফেনী  ১৩. চাঁদপুর  ১৪. চট্টগ্রাম  ১৫. কক্সবাজার  ১৬. ফরিদপুর  ১৭. মাদারীপুর  ১৮. গােপালগঞ্জ  ১৯. শরীয়তপুর।

এসএইচআর/জেডএস