জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগ নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে নিয়ে নেওয়া হলে নির্বাচনে স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। তাই এটি সরকারের অন্য কোনো বিভাগের হাতে না নেওয়ার দাবি তুলেছেন ইসি কর্মকর্তারা।

রোববার (২৩ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে দাবি জানিয়ে তারা একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।

>>এনআইডির ৪ ভুল : সংশোধন করবেন যেভাবে

স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হাসানুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সিইসিকে এনআইডির বিষয়ে যুক্তিযুক্ত স্মারক লিপি দিয়েছি। কমিশন এ নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সাবেক সিইসি ও সচিবরা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সভায় সবাই একবাক্যে বলেছিলেন এনআইডি ইসির অধীনে রাখা যুক্তিযুক্ত। সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের স্মারকলিপি দিয়েছি। তারা আশ্বস্ত করেছেন, কমিশন সভা করে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এনআইডি অন্যত্র চলে গেলে নির্বাচনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে এবং ইভিএমের মাধ্যমে যে নির্বাচন করতে চাচ্ছি, সেখানে সরাসরি এনআইডির ব্যবহার হয়। আমাদের ডাটাবেজ অন্য কোথাও থেকে এলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, কমিশন বলেছে দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিশন সভা করে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করবেন। আমরা আশা রাখতে চাই তারা নিশ্চয় ভালো কোনো সিদ্ধান্ত দেবেন। তাদের সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।

>>পাসপোর্ট সেবা প্রশ্নবিদ্ধ, চোখ কেন এনআইডিতে?

সরকার এনআইডি ইসির কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের হাতে ন্যস্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য নতুন একটি আইন করার প্রক্রিয়াও হাতে নেওয়া হয়েছে।

সাবেক সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এ নিয়ে বলেছেন, এনআইডি চলে গেলে মানুষের ভোটার হওয়ার আগ্রহ কমে যাবে। এছাড়া সাবেক সিইসি কেএম নূরুল হুদা, বিচারপতি আব্দুর রউফ, সাবেক ইসি সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিকসহ অন্যরা এনআইডি ইসির অধীনে রাখার পক্ষেই মতামত দিয়েছেন।

এসআর/এমএ