স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানী ঢাকাকে বসবাস উপযোগী দৃষ্টিনন্দন শহর হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত সব শ্রেণির মানুষ ঢাকায় বসবাস করে। তাই সবার বিষয়কে বিবেচনায় রেখেই ঢাকাকে গড়ে তুলতে হবে। 

বুধবার (২৬ অক্টোবর) ‘নগর কথা - নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসন ও নাগরিক সুবিধাসমূহ : প্রেক্ষিত ঢাকা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তাজুল ইসলাম। রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং ইউএন হ্যাবিট্যাট যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, যেকোনো শহরেই সব শ্রেণির মানুষের প্রয়োজন রয়েছে। একইভাবে রাজধানী ঢাকায়ও সব শ্রেণির মানুষের প্রয়োজন রয়েছে৷ তাই সব শ্রেণির মানুষের জন্য সুন্দর ও নিরাপদ জীবনযাপনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

আরও পড়ুন : ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতির জন্য কাজ করছে সরকার : মন্ত্রী তাজুল

তিনি বলেন, রাজধানীতে শ্রেণিভেদে মানুষের আয়ের তারতম্য রয়েছে। পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্য নির্ধারণে মানুষের আয়ের বিষয়কে বিবেচনায় রাখতে হবে। এ জন্য জোনভিত্তিক পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের দাম নির্ধারণ করা যৌক্তিক।

তাজুল ইসলাম জানান, গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ অভিজাত এলাকায় বসবাসরত মানুষ যে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন, যাত্রাবাড়ী অথবা পুরান ঢাকার মানুষ তা পায় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমতাভিত্তিক উন্নয়নের কথা বলেছেন। সমাজ ও মানুষের মধ্যে বৈষম্য প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেননি।

মন্ত্রী বলেন, নগরে মানুষের অভিবাসন কমাতে হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতে হবে। এজন্য বর্তমান সরকার প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করার নির্বাচনী অঙ্গীকার করেছে এবং সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। মানুষ গ্রামেই উন্নত সব সুযোগ-সুবিধা পেলে শহরমুখী হবে না।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেম।

অন্যদের মধ্যে সেন্টার অব আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, জাতিসংঘ উন্নয়ন বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিশিষ্টজনরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এসএসএইচ