জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিক্রি হয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সিরিয়াল। বহির্বিভাগে টিকিট কাউন্টারের সামনে প্রতিটি সিরিয়াল বিক্রি হয় ১০০ থেকে ২০০ টাকায়।

পানির বোতল, ডাবের খোসা, ব্যাগ, জুতা কিংবা ইট দিয়ে আগেই রোগীদের সিরিয়াল রেখে দেন সেখানে কর্মরত আনসার সদস্য ও আয়ারা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা রোগীদের এসব সিরিয়াল কিনতে হয়। সিরিয়াল না কিনলে নির্দিষ্ট দিনে আর ডাক্তার দেখাতে পারেন না রোগীরা। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট টিম হাসপাতালটিতে অভিযান চালায়। দুদকের সহকারী পরিচালক সারিকা ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযানে অংশ নেয়।

দুদক উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক অভিযানের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

দুদক জানায়, মহাখালীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কর্মরত আনসার ও আয়াদের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সিরিয়াল পাইয়ে দেওয়াসহ অন্যান্য অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানকালে টিম ছদ্মবেশে ক্যান্সার রোগীদের সঙ্গে সেখানে কর্মরত আনসার ও আয়াদের খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে। টাকার বিনিময়ে ডাক্তারদের সিরিয়াল পাইয়ে দেওয়াসহ বেশ কিছু অনিয়ম টিমের নজরে আসে।

পরে অনিয়মের বিষয়ে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে টিম কথা বলে। হাসপাতাল পরিচালক সেবা বিঘ্নকারী কর্মচারীদের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন বলে টিমকে জানান।

দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, হাসপাতালটিতে ডাক্তার দেখাতে প্রথম দশজনের সিরিয়াল বিক্রি হয় ২০০ টাকায়, দশের পরে সিরিয়াল নিলে ১৫০ টাকা, ২০ জনের পর নিলে ১০০ টাকা। হাসপাতালের আনসার সদস্য ও আয়ার দায়িত্বে থাকা সবাই কমবেশি সিরিয়াল বিক্রি করেন। সিরিয়াল না কিনলে ডাক্তার দেখানো যায় না। দুপুর ১টা বাজলে আর কোনো টিকিটও দেওয়া হয় না।

আরএম/আরএইচ