কানাডায় বসবাসরত বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে দেশটির আইনের মাধ্যমে না পারলে বিকল্প ব্যবস্থায় ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলসের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ অনুরোধ জানান।

পরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কানাডার আইনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফেরত দেওয়া সম্ভব হবে না বলে আমাকে হাইকমিশনার জানিয়েছেন। আমি তাদের অনুরোধ করেছি, বিকল্প পন্থা বের করা যায় কি না দেখতে। তাকে বলেছি, একজন খুনিকে আশ্রয় দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যা মামলার আসামি নূর চৌধুরী কানাডায় পালিয়ে আছেন। আপনারা জানেন যে কানাডায় একটি আইন আছে, যে দেশে মৃত্যুদণ্ড সাজা হিসেবে আছে সে দেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো আসামিকে কানাডা ফেরত দেয় না। এটি তিনি আমাকে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন। আমি তারপরও তাকে অনুরোধ করেছি, আমরা আইন এবং যেসব রুলস আছে, আমরা যদি সেগুলো এক্সামিন করি তাহলে কানাডা যাতে ফিরিয়ে দিতে পারে এমন কোনো পন্থা খুঁজে পাব। আমি এটাও বলেছি, তাকে ওখানে রাখাটা মানবাধিকার লঙ্ঘন।

আরও পড়ুন : বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড : নেপথ্যের কুশীলব কারা? 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, বিকল্প কোনো পন্থা বের করার জন্য আমরা সব আইন দেখার অনুরোধ জানিয়েছি। উনি বলেছেন, উনি তাদের সরকারের কাছে বার্তা পৌঁছে দেবেন।

আগামী সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেওয়া হবে কি না তা জানতে চেয়েছে কানাডা।

আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের কাছে তারা কোনো কনসার্ন ব্যক্ত করেননি, কোনো সাজেশনও দেননি। নির্বাচন নিয়ে ওনারা জানতে চেয়েছেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক আমরা অ্যালাউ করব কি না। আমি স্পষ্ট করে বলেছি, এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার, তাদেরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এসময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা কথা বলেছি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে এবং ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট নিয়ে।

আনিসুল হক বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলেছি, সরকার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের নিয়োগের বিষয়ে আইন করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন করা। সেখানে সরকারের যেসব সহযোগিতা লাগবে সরকার সেটা করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বদ্ধ পরিকর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে।

এসএইচআর/এসএসএইচ