রাজধানীতে বহুতল ভবন নির্মাণে নকশার জন্য যারা গত ২৩  আগস্ট পর্যন্ত আবেদন করেছে, তাদের আগের নিয়মে অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা।

সোমবার (৭ নভেম্বর) পরিকল্পিত আবাসন ও উন্নত রাজধানী গড়তে নতুন ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) কার্যকারিতা নিয়ে রাজউক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে রাজউক চেয়ারম্যান এ তথ্য জানান।

এ সময় এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু ও রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং বিষয়ক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ভূঁইয়া মিলনসহ এ খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে নতুন ড্যাপে নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন শহর গড়তে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ থাকায় রাজউকের প্রতি ধন্যবাদ জানান এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।

তিনি বলেন, ড্যাপ একটি বিশদ পরিকল্পনা। এর প্রণয়ন যেমন দুরূহ তেমনি বাস্তবায়নও বেশ কঠিন। তবে টেকসই ও বাসযোগ্য রাজধানী নিশ্চিতে মাস্টারপ্ল্যান, ড্যাপ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কারিগরি সদস্যের সমন্বয়ে রাজউকের বোর্ড পুনর্গঠন, ড্যাপে এলাকাভিত্তিক তথ্য উপাত্ত থাকা, ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর-ফার) বাড়ানো, জমির পরিমাণ সীমিত থাকায় বহুতল ভবন নির্মাণ, ডেভেলপারসহ সংশ্লিষ্টদের নকশা পাওয়ার সময় নির্দিষ্টকরণ, রিয়েল এস্টেট সংক্রান্ত আইন/বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে রিহ্যাবকে সম্পৃক্ত করাসহ বেশকিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি।

তিনি জানান, আবাসন ব্যবসায়ী, নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতিসহ স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে এর আগে ব্যাপক আলোচনার ভিত্তিতেই এসব প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।

রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, পরিবর্তন বা রূপান্তর মানেই চ্যালেঞ্জ। সকল পরিবর্তনেই লাভবান হওয়ার পাশাপাশি কিছু সংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চলতি বছরের ২৩ আগস্ট মধ্যে সব নকশার আবেদন আগের নিয়মে অনুমোদন দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২৩ আগস্টের আগে যেসব আবাসন ব্যবসায়ী জমির মালিকদের সঙ্গে রেজিস্টার্ড চুক্তি করেছেন, তাদের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এছাড়া বিভিন্ন সময়ে অবৈধ ভবন ভাঙার অভিযানের ব্যাপারে এফবিসিসিআই’র নেতৃত্বে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) ও বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলডিএ) অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করার পরামর্শ দেন রাজউক চেয়ারম্যান। এর মাধ্যমে আবাসন ব্যবস্থাপনা তদারকি করারও পরামর্শ দেন তিনি। 

নতুন ড্যাপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর নগরবাসীর সুবিধা ও আবাসন শিল্পের কল্যাণে পরবর্তী আলোচনার মাধ্যমে সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম।

এসআই/কেএ