ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শহরে চলে আসা উদ্বাস্তুদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য উন্নত দেশ ও দাতা সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন। সমাজের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। 

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) মিশরের শার্ম আল-শেখে ক্লাইমেট অ্যাকশন জোনে প্যানেল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, গ্রিন জব তৈরিতে গুরুত্বারোপ করতে হবে। স্থানীয় ও জাতীয় উভয় প্রশাসনকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ৪ মিলিয়নেরও বেশি জলবায়ু-সহনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির ঘোষণা দিয়েছে।

উন্নত দেশ ও দাতা সংস্থার সহযোগিতায় নগরের জন্য জলবায়ু অভিযোজন তহবিল গঠন করতে হবে উল্লেখ করেন মেয়র আতিকুল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা, খরা, নদী ভাঙন ও লবণাক্ততা এসবের কারণে বিপুল সংখ্যক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ নিরাপদ জীবনের খোঁজে প্রতিদিন রাজধানী ঢাকায় চলে আসছে। প্রতিদিন গড়ে ২০০০ মানুষ ঢাকায় আসছে। শহরে মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাছাড়া ঢাকা নিজেই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকার বাসিন্দাদের রক্ষা করতে হবে। জলবায়ু অভিযোজনে বিনিয়োগ খুবই জরুরি।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, মোট জলবায়ু তহবিলের অন্তত ৫০ শতাংশ ঢাকার মতো ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোকে প্রদান করতে হবে। জলবায়ুতে পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে উদ্বাস্তুদের সরিয়ে নিরাপদ স্থানে আবাসনের ব্যবস্থা করা জরুরি। উদ্বাস্তুদের মর্যাদা দিতে হবে এবং তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সহায়তা প্রদানও করতে হবে। ঢাকা উত্তরের মেয়র, সি-৪০ সিটিসের ভাইস-চেয়ার এবং মেয়রস মাইগ্রেশন কাউন্সিলের লিডারশিপ বোর্ডের সদস্য হিসেবে আমি জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্বাস্তুদের জন্য কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

ডিএনসিরি অর্ন্তভুক্ত এলাকাগুলোকে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তুলতে কাজ করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে খাল ও জলাশয়গুলো পুনরুদ্ধার করে চলেছি। খেলার মাঠ ও পার্ক নির্মাণ করেছি, বৃক্ষরোপণ করছি। ইউনাইটেড ইন বিল্ডিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধীনে সি-৪০ সিটিস ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে আমাদের প্রচেষ্টা স্বীকৃত হয়েছে। ডিএনসিসির এলাকাগুলোকে সবুজ, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে।

এএসএস/কেএ