বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, বস্তি উচ্ছেদ করলেও আগে বস্তিবাসীদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। পরিকল্পিত নগরায়নের জন্য প্রতিটি বিষয়ের সমন্বয় সাধন প্রয়োজন।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, দিন দিন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা মহামারিতে প্রায় ৩০ হাজার লোক মারা গেছে। কিন্তু কেউ না খেয়ে মারা যায়নি। 

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর কেআইবি কনভেনশন হলে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নগর অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র বিমোচন ও বৈষম্য নিরসনে করণীয় ’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জিটুজি’র মাধ্যমে প্রতিটি নিম্ন আয়ের মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। আপনাদের সুপারিশগুলো সরকারের পরিকল্পনার মধ্যেই রয়েছে। সুতরাং আমরা যেন কারও কথায় কিংবা লোভে বিভ্রান্ত না হই। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্যমুক্ত ও বৈষম্যহীন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দারিদ্র্য, ক্ষুধামুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। জাতির জন্য তিনি প্রস্তুত করেছিলেন সংবিধান। সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, 

ডেপুটি স্পিকার আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করতে কুদরত-ই খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। কলকারখানা জাতীয়করণ ও ভূমি সংস্কার আইন করেন। গড়ে তোলেন সমবায় ও কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি। জাতির পিতার দেশ পুনর্গঠনের সেই কাজকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ১৭ কোটি মানুষের ৩৪ কোটি হাতকে কাজে লাগাতে পারলেই ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশের মর্যাদা লাভ করবে।

এসআর/এনএফ