বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সেই মুক্তি চাইলে দুর্নীতি বন্ধ করতেই হবে
৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে মুক্তির কথা বলেছেন, সেই মুক্তি পেতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতেই হবে বলে মনে করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. ইকবাল মাহমুদ।
রোববার (০৭ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নিপীড়িত মানুষের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির এক অনবদ্য আহ্বান। অনুপম সাহিত্যকর্ম, গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি, রাজনীতির অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনার এক সমন্বিত দলিল। এ ভাষণের প্রতিটি শব্দই তাৎপর্যপূর্ণ। একটি তর্জনী একটি দেশের স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে উঠবে এমনটি আমি অন্য কোনো ভাষণে দেখিনি। এটি আমাদের গর্বের।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা মানে শুধু ভৌগলিক স্বাধীনতা নয়, বরং স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য হচ্ছে গণমানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি। ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাঙালির স্বাধীনতার নতুন সূর্য ফিরে পাওয়ার প্রথম দীপ্ত উচ্চারণ বলে আমি মনে করি।
বিজ্ঞাপন
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের শক্তি দেয়, প্রেরণা দেয়। বঙ্গবন্ধু যে মুক্তির কথা বলেছেন, সেই মুক্তি পেতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতেই হবে। যেহেতু এটা দুদকের আইনি দায়িত্ব, তাই দৃঢ়তার সঙ্গে নির্মোহভাবে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখা হবে। সার্বিকভাবে মুক্তির জন্য শিক্ষকসহ সমাজে যার যার যে দায়িত্ব আছে, তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। তাই আসুন, আমরা সবাই আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে মুক্তির পথকে এগিয়ে নিয়ে যাই।
আলোচনা সভায় দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ৭ মার্চের ভাষণটি ছিল অলিখিত, জাতির পিতার হৃদয় থেকে উৎসারিত। এটা প্রথম ছিল রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত ১০ লাখ জনতার, তারপর হলো বাংলাদেশের মানুষের, আজ তা সারা বিশ্বের মানুষের সম্পদে পরিণত হয়েছে। এই ভাষণে ইতিহাস, সংগ্রাম, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, যুদ্ধের কৌশল, ভাষা ঐতিহ্য সবই ছিল ।
দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম জাতির পিতার রাজনৈতিক জীবনের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে বলেন, এ ভাষণকে অতীতের ঐতিহাসিক সংগ্রাম, বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনার একটি দলিল বলা যেতে পারে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা এক সময় মন্ত্রী হিসেবে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর দায়িত্বে ছিলেন। তাই প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আদর্শবান কর্মী হিসেবে অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।
দুদক সচিব ড. মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ঐতিহাসিক এই ভাষণ আজ শুধু জাতীয় সম্পদ নয়, এটা আজ আন্তর্জাতিক সম্পদে পরিণত হয়েছে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদকের মহাপিরচালক আ ন ম আল ফিরোজ, পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. আকতার হোসেন, উপ-পরিচালক নাজমুস সায়াদাত, মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
আরএম/জেডএস