ঢাকাকে বসবাস উপযোগী করতে আমরা সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ: এলজিআরডি মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং ড্যাপ রিভিউ কমিটির আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এ দেশ আমাদের সবার। ঢাকা শহরকে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করে বসবাস উপযোগী করার জন্য আমরা সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ। ড্যাপের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামত নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রোববার (৭ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে ড্যাপ বাস্তবায়নের বিষয়ে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন (রিহ্যাব) ও বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভলপারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলডিএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী জানান, ড্যাপ বাস্তবায়নে রিহ্যাব ও বিএলডিএর পক্ষ থেকে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ ও মতামত তুলে ধরা হয়েছে। এসব মতামত ও সুপারিশ পর্যালোচনার জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি এসব সুপারিশ পর্যালোচনা করে সংক্ষেপ ড্যাপের আহ্বায়কের নিকট উপস্থাপন করবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড্যাপের আহ্বায়ক বলেন, বিভিন্ন সময়ে ঢাকা নগরীতে অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এতে করে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আর যাতে অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো নির্মাণ না হয় সে জন্য ড্যাপ বাস্তবায়ন জরুরী। আইন লঙ্ঘন করে কেউ কোনো কিছু করলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, যেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের সুযোগ রয়েছে সেখানে তা নির্মাণ করা হবে। আর যেখানে সব নাগরিক সেবা দেওয়া সম্ভব না সেখানে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, মানুষ যদি চলাচলের জন্য রাস্তা না পায়, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ না থাকে, ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলার মাঠ ও ওয়াটার বডিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা না থাকে তাহলে সেখানে বড় বড় বিল্ডিং করা ঠিক হবে না। তাই সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, রাজউকের চেয়ারম্যান ড. সাঈদ হাসান শিকদার, ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিএলডিএর সভাপতি আহমেদ আকবর সোবহান, রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/ওএফ