প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। 

তিনি বলেন, দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতা ও করোনার প্রকোপ বিবেচনায় ঢাকা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  

রোববার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ওয়ার্কশপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর কার পক্ষ থেকে স্থগিত করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, আমরা স্থগিত করেছি। তারা প্রস্তুত আছে। আমরা একাধিক কথা চিন্তা করে সফর স্থগিত করেছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাওয়াত দিয়েছেন। এ দাওয়াতটা আমরা দুই বছর আগে পেয়েছিলাম। কোভিডের কারণে দুই বছরের অধিক সময় হলেও যাওয়া যায়নি। এবার সব ফাইনাল  হলো। কিন্তু সম্প্রতি জাপান সরকারের মধ্যে একটা অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। পরপর তিনজন প্রভাবশালী মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।

মোমেন বলেন, এর মধ্যে আমরা খবর পেয়েছি জাপানের সংসদে কিছু প্রস্তাব আসবে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে। তিনি (জাপান প্রধানমন্ত্রী) খুব ব্যস্ত আছেন। দ্বিতীয়ত কোভিডের কারণ। জাপানের এখনও কোভিডের জন্য কোয়ারেন্টাইন করতে হয়। তারা ১০ জনের মতো অনুমতি দেবে। আমরাতো বিরাট দল যাব। ব্যবসায়ীরা যাবে। আমরা ব্যবসায়ীদের নিয়ে যেতে চাই, যেন আমাদের দেশে বিনিয়োগ বাড়ে।

তিনি বলেন, জাপানের সঙ্গে আমাদের বিনিয়োগ বাড়ছে। কিন্তু আমরা আরও বিনিয়োগ চাই। আমরা অবশ্যই জাপানে যাব। 

প্রধানমন্ত্রী সফর স্থগিত নিয়ে অন্য কোনো চিন্তা-ভাবনা না করার পরামর্শ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাপানের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক। জাপান আমাদের ভালো বন্ধু।

জাপানের রাষ্ট্রদূত সাদাসিধে মানুষ 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাও‌কির সাম্প্রতিক বক্তব্যে নিয়ে ঢাকা উদ্বিগ্ন নয়। তাকে কোনো দুষ্টু লোক ভুল তথ্য দিয়েছি। তিনি সাদাসিধে মানুষ। তিনি বাংলাদেশের ভালো বন্ধু। তাকে বলা হয়েছে, পুলিশ এসে ভোট দিয়েছে। সেই কথা তিনি বলে ফেলেছেন। রাষ্ট্রদূত ভালো মানুষ। এটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই।
 
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে খোলামেলা মন্তব্য করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। 

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বৈশ্বিক মতামতের একটা গুরুত্ব আছে। জাপান ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরপর উদ্বেগ জানিয়েছিল। আমরা নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কথা শুনেছি, যা পৃথিবীর আর কোথাও শুনিনি। আমি আশা করব, এবার তেমন সুযোগ থাকবে না বা এমন ঘটনা ঘটবে না।

এনআই/এসকেডি