২০১২ সালে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবি সদস্যসহ ১৯ জন নিখোঁজ হন। এর মধ্যে বিজিবির নায়েক মিজানুর রহমানের মরদেহ চার দিন পর ফেরত দিলেও লুট করা বিজিবির ১১ অস্ত্র আজও ফেরত দেয়নি মিয়ানমার সেনাবাহিনী। যদিও বিষয়টি নিয়ে অনেক পতাকা বৈঠক হয়েছে, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু ১০ বছরেও সেই ১১ অস্ত্র ফেরত পায়নি বিজিবি।

এ অবস্থার মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-এর মধ্যে দেশটির রাজধানী নেপিতোতে গত ২৪ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ৮ম সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ বিজিবি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা বিজিবি ডিজির কাছে সেই লুট করা অস্ত্র ফেরত পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, এমন অনেকগুলো ঘটনা আছে, যেগুলো অনেক পুরনো। এসব ঘটনা নিয়ে সমাধান আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তবে হঠাৎ করে সমাধান হয় না। 

তিনি বলেন, যখন দ্বিপাক্ষিক সম্মেলন হবে সেখানে ধীরে ধীরে আলোচনা হবে, সমাধান হবে বলে আশা করি। আলোচনা করাই হয় সমাধানের জন্য।

তিনি বলেন, আমাদের ১৮ জনকে জেলেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে নিয়ে যাওয়া হয়। মাত্র ছয়জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা খুব কড়াভাবে মিয়ানমারকে বলেছি, জেলেরা তো বোঝে না কোনটা আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাইন। তারা জীবিকার কারণে সেখানে যায়, ভোগান্তিতে পড়ে। ভুলবশত হলে সঙ্গে সঙ্গে ফ্ল্যাগ মিটিং করে তাদের দেওয়ার কথা দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে লেখা আছে। খুব সিরিয়াস কোনো ইস্যু ছাড়া আমরা যে কোনো সমস্যা বৈঠকে বসে সমাধান করতে পারি।

সীমান্তে বিজিবির নায়েক খুন, অস্ত্র লুটের ঘটনার সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের কোনো সংযোগ ছিল কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সীমান্তে মাদক, বিচ্ছিন্নতাবাদী অপতৎপরতারোধসহ সব কিছুর ব্যাপারে আমাদের নীতি জিরো টলারেন্স। আমাদের অবস্থান সব সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে। শুধু আরসা বা আরএসও এর মতো দুই একটি নামেই আমরা সীমাবদ্ধ যেন না থাকি। আমরা এদের কোনো কার্যক্রম সহ্য করব না। সেজন্য আমরা সব সময় সাবধান আছি। ঘুমধুম সীমান্তের কোনারপাড়ায় আমাদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক ছয়টি পোস্ট রয়েছে। সারাদিন মিলে এক প্লাটুন বিজিবি ডিউটিতে রয়েছে। যাতে কোনো অপরাধী ও অবৈধ অনুপ্রবেশ না ঘটে। 

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস ও ট্রেনিং) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এম এম খায়রুল কবির, কক্সবাজারের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব, পরিচালক (অপস) লে. কর্নেল ফয়েজুর রহমান প্রমুখ।

জেইউ/এসকেডি