বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারী সমিতির (বাচসকস) সাংগঠনিক সংসদ নির্বাচনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কলেজ চত্বরে নির্বাচনী পোস্টার-ফেস্টুন কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ঢামেক হাসপাতালের কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে এই ঘটনাটি ঘটে। এরপর থেকে কলেজ চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কর্মচারীরা অভিযোগ করে বলেন, আগামী ৮ ডিসেম্বর আমাদের কর্মচারী সংসদের নির্বাচন। তাই সুষ্ঠুভাবে প্রচার প্রচারণার কাজ চলছে। নির্বাচন উপলক্ষে ঢামেকে পোস্টার-ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। রাতে কারা যেন আমাদের সব প্রার্থীদের পোস্টার-ফেস্টুন কেটে মাটিতে ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনায় সকল কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। একটি মহল আমাদের নির্বাচনকে বানচাল করে সংঘাতে রূপান্তরিত করার জন্য এই কাজগুলো করেছে।

তারা আরও বলেন, এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছি। কারো যদি এই পোস্টার-ফেস্টুনে সমস্যা হতো তাহলে তারা আমাদের বিষয়টি জানাতে পারতো। নির্বাচনী প্রার্থীরা হাজার হাজার টাকা খরচ করে এসব বানিয়েছে আর কারা যেন রাতের অন্ধকারে সেগুলো কেটে ফেলে দিয়েছে যেটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। অধ্যক্ষ মহোদয় ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেই। তাদের পক্ষ থেকে সময় নেওয়া হয়েছে এবং বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিষয়টি খুবই দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাতের আঁধারে তারা উস্কানিমূলক কাজ করেছে। এ ঘটনায় কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আমরা সংক্ষুব্ধ পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করছি। এ কাজটি যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিক্ষুব্ধ কর্মচারীদের কোনো উস্কানিতে পা না দেওয়ার জন্য তাদের অনুরোধ করেছি।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাইনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। কলেজের মূল ফটকের সামনে দুটি সিসি ক্যামেরা ভেঙে দিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে তবে বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এসএএ/এফকে