যার অবদানে দেশে সোনালি মুরগির হাজার-হাজার খামার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, লাখ-লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে; সেই তিনি এখনও পেলেন না কোনো স্বীকৃতি বা পুরস্কার। এই আক্ষেপে পুড়ছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা শাহ জামাল। 

‘সোনালি মুরগি পাকিস্তানের নয়, দেশেই এ জাতের উদ্ভাবন’— তথ্যটি জানেন না দেশের বেশির ভাগ মানুষ। এ মুরগি পাকিস্তানের বলেই জানেন সাধারণ মানুষ। অথচ এ জাতের মুরগির উদ্ভাবন হয়েছে দেশেই। সোনালি আমেরিকান রোড আইল্যান্ড রেড (আরআইআর) জাতের মোরগ ও মিশরের ফাইউমি জাতের মুরগির মধ্যে সংকরায়নের মাধ্যমে উৎপন্ন প্রথম প্রজন্ম বা এফ-১ জেনারেশন মুরগি।

১৯৯৬ সালে সোনালি মুরগির সম্প্রসারণ ও বাণিজ্যিক প্রসারতা বাড়াতে কাজ শুরু করেন শাহ জামাল। তার আপ্রাণ চেষ্টার ফলে বর্তমানে সোনালি মুরগি উৎপাদনের দিক দিয়ে সারাদেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে জয়পুরহাট

জানা গেছে, ১৯৮৭ সালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা মরহুম আব্দুল জলিল সোনালি জাতের মুরগি উদ্ভাবন করেন। পরে এ অধিদপ্তরের সাবেক আরেক কর্মকর্তা শাহ জামাল সোনালি মুরগি সারাদেশে ছড়িয়ে দেন।

জামালগঞ্জের শেফালী ফিড অ্যান্ড হ্যাচারি / ছবি- ঢাকা পোস্ট

সোনালি মুরগির সম্প্রসারণ 

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর ইউনিয়নের জামালগঞ্জ সরকারি হাঁস-মুরগির খামারে (বর্তমান নাম সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার) কর্মরত অবস্থায় ১৯৯৬ সালে সোনালি মুরগির সম্প্রসারণ ও বাণিজ্যিক প্রসারে কাজ শুরু করেন শাহ জামাল। তার আপ্রাণ চেষ্টায় বর্তমানে সোনালি মুরগি উৎপাদনের দিক দিয়ে সারাদেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে জয়পুরহাট।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহ জামাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ১৯৯২ সালে পদোন্নতি পাওয়ার মাধ্যমে বগুড়া থেকে সহকারী পরিচালক (খামারপ্রধান) হিসেবে জামালগঞ্জের সরকারি হাঁস-মুরগির খামারে যাই। খামারটি একেবারে পল্লীগ্রামের ভেতরে। পদায়ন হওয়ার পর দেখি সেখানকার যুবকরা মদ তৈরি করতেন। ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিলেন তারা। একেবারেই খারাপ অবস্থা! এ অবস্থা দেখে আমার অনেক খারাপ লাগল। নিজেকে শক্ত করে সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি এখানে থাকব এবং কিছু একটা করব। 

জামালগঞ্জের রাফিদ ফিড অ্যান্ড হ্যাচারিতে সোনালি মুরগি / ছবি- ঢাকা পোস্ট

সেই চিন্তা থেকে সোনালি জাতের মুরগি নিয়ে কাজ শুরু করি— উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সোনালি মুরগির জাতের আগের একটি সূত্র ছিল। সেই সূত্র নিয়ে আমি কাজ শুরু করি। এরপর সোনালি মুরগির নতুন জাত তৈরি করি। অর্থাৎ আমি সোনালি মুরগির জাতের রি-মডেল করি।’

‘আমি সেখানে ১৯৯২ সালে যোগ দিলেও সোনালি মুরগি নিয়ে মূলত কাজ শুরু করি ১৯৯৬ সাল থেকে। প্রথমে যুবকদের সংগঠিত করি। এরপর তাদের প্রশিক্ষণ দিই। একসময় কিছু কিছু জায়গায় মুরগি সরবরাহ শুরু করি এবং ফলও পেতে থাকি। পরে জয়পুরহাট থেকে পাশের জেলা নওগাঁ ও বগুড়ার কিছু অংশসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় মোটরসাইকেলে চলাচল করে কাজ শুরু করি। ওই সময় প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতাম। যুবকদের বোঝানোর পর প্রশিক্ষণ দিলাম। একাই সব কাজ করি। একসময় দেখলাম অনেক মানুষ মুরগি পালনের জন্য নিজেদের তৈরি করল। নির্দিষ্ট সময় পর তারা লাভও পেতে থাকল।’

সোনালি মুরগির বাচ্চা / ছবি- ঢাকা পোস্ট

শাহ জামাল বলেন, ১৯৯২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ১৬ বছর আমি ওই খামারে কর্মরত ছিলাম। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালে সোনালি মুরগি নিয়ে কাজ শুরু করি এবং ২০০০ সালে এটি পূর্ণ রূপ পায়। তখন জয়পুরহাট, বগুড়া, দিনাজপুর, নওগাঁসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে অন্তত ২০ থেকে ৩০ হাজার খামার গড়ে উঠল। পাঁচ থেকে ছয় লাখ যুবক এ কাজের সঙ্গে যুক্ত হলো। ধীরে ধীরে এই সোনালি মুরগির উৎপাদন কার্যক্রম সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ল।

উপকারভোগী যারা 

শাহ জামালের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জয়পুরহাট, বগুড়া ও নওগাঁর কয়েকটি খামার সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে জয়পুরহাটের জামালগঞ্জে কথা হয় রাফিদ ফিড অ্যান্ড হ্যাচারির কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান মিঠুর সঙ্গে। তিনি হ্যাচারির মালিক ইসমাইল হোসেন টুকুর ভাতিজা। মাহফুজার রহমান মিঠু ঢাকা পোস্টকে জানান, ২০০০ সালে শাহ জামালের পরামর্শে তারা সোনালি মুরগি পালন শুরু করেন। প্রথমে ২২৫০ বর্গফুটের তিনটি শেড নিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে তিনটি স্থানে তাদের শেড রয়েছে। এর মধ্যে জামালগঞ্জে ছয়তলা করে তিনটি, পাহাড়পুর সড়কে ছয়তলার একটি এবং আক্কেলপুর সড়কের পাশে নওদুয়ারিতে আরও তিনটি শেড রয়েছে। সবমিলিয়ে এক লাখ মুরগি আছে তাদের খামারে। 

বগুড়ার মর্ডান পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারির মালিক আতাউর রহমান / ছবি- ঢাকা পোস্ট

জামালগঞ্জে শেফালি ফিড অ্যান্ড হ্যাচারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ১৯৯৮ সালে প্রথম মুরগি পালন শুরু করেন। ২০০০ সালে তৎকালীন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শাহ জামাল তাদের তিন ভাইয়ের শেডে সোনালি মুরগির বাচ্চা সরবরাহ করেন। এখন জামালগঞ্জে তাদের পাঁচটি এবং ক্ষেতলাল উপজেলায় আরও একটি মুরগির শেড রয়েছে। 

বগুড়ার বনানীতে কথা হয় মর্ডান পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারির মালিক আতাউর রহমানের সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০০১ সাল থেকে শাহ জামাল স্যারের সঙ্গে আমার পরিচয়। ওনার কাছ থেকে ২০০৫ সালে সোনালি মুরগির বাচ্চা সংগ্রহ করি। তার পরামর্শে নিজের হ্যাচারি গড়ি। এখন আমার খামারে ১০ হাজার মুরগি আছে। 

‘শাহ জামাল স্যার নিজ হাতে অনেক খামারিকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। অনেক খামারি সোনালি মুরগির বাচ্চা চিনত না। তিনি বাসায়-বাসায় গিয়ে ভ্যাকসিনও দিয়েছেন। সমস্যা হলে বাসায় চলে যেতেন। তার কাছে এখনও ফোন দিলে সঠিক পরামর্শ পাই।’

নওগাঁর খাদাইলের মা গোল্ড পোল্ট্রি ফিড অ্যান্ড হ্যাচারির মালিক সাজেদুর রহমান পিন্টু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার সোনালি মুরগির খামার ও দোকান আছে। শাহ জামাল স্যারের জন্য আজ আমি পিন্টু থেকে ‘পিন্টু সাহেব’ হয়েছি। ওনার কাছ থেকে ৫০০ মুরগি এনেছিলাম। সেই ৫০০ থেকে এখন ৫০ হাজার হয়েছে। 

জনগণের কাছে সোনালি জনপ্রিয় করেন শাহ জামাল 

‘শাহ জামাল জনগণের কাছে সোনালি মুরগি জনপ্রিয় করেন’— জানান প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রাব্বানী। তিনি ঢাকা পোস্টকে জানান, তার পরিশ্রমের কারণেই দেশে গ্রহণযোগ্যতা পায় এ মুরগি। 

গোলাম রাব্বানী বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রথম আশির দশকে এসে বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোনালি মুরগির জাত তৈরিতে সক্ষম হয়। উদ্ভাবনের পর জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য কি না, এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে শাহ জামাল স্যারের ডেডিকেশন ছিল অনেক বেশি। তিনি এটা জনগণের মধ্যে জনপ্রিয় করেন। তার ডেডিকেশনের মাধ্যমে দীর্ঘসময় ধরে এটা মাঠে ট্রায়াল হয় এবং গ্রহণযোগ্যতা পায়।

তিনি বলেন, এ মুরগির জাত মাঠে দেওয়া হয়েছিল বাস্তবায়নযোগ্য কি না, সেটি যাচাইয়ের জন্য। তা প্রমাণ করেছেন শাহ জামাল স্যার। তিনি জনগণের কাছে এ মুরগি খুবই গ্রহণযোগ্য করেছেন। এর উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং— সবগুলো বিষয়ে তার অবদান ছিল অনেক বেশি। সেদিন সেই যে শুরু, বর্তমানে দেশে কী পরিমাণ পুষ্টির চাহিদা জোগান দিচ্ছে সোনালি মুরগি, কত মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে— সত্যিই এটা অনেক বড় বিষয়। সোনালি মুরগির খামার করে অনেক পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। ফলে পুষ্টি, কর্মসংস্থান এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য এটি নিঃসন্দেহে অনন্য এক কার্যক্রম। 

এতকিছুর পরও মেলেনি স্বীকৃতি, আক্ষেপে পুড়ছেন শাহ জামাল

জয়পুরহাটসহ সারাদেশে ‘সোনালি’ বিপ্লবের পেছনে রয়েছে শাহ জামালের অবদান। এত কিছু করেও তিনি কোনো স্বীকৃতি কিংবা পুরস্কার পাননি। এজন্য আক্ষেপ হয় তার। 

শাহ জামাল বলেন, আমার আক্ষেপ আছে। আমি এত বড় কর্মকাণ্ড করলাম। এর মাধ্যমে সারাদেশের লাখ-লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে, মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর থেকে আমাকে কোনো স্বীকৃতি দেওয়া হলো না। তবুও আমি কাজ করে গেছি। জনগণের মধ্যে ছিলাম, জনগণ আমাকে ভালোবাসে। ওই ভালোবাসাটাই আমার কাছে বড় পুরস্কার।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা শাহ জামাল / ছবি- ঢাকা পোস্ট

তার দাবি, সোনালি মুরগি বাংলাদেশের মানুষ একসময় চিনত না। আমি উদ্যোগ নেওয়ার আগে এ বিষয়ে মানুষ জানত না। দেশে উদ্ভাবিত এ মুরগি পাকিস্তানি বলার পেছনে অধিদপ্তরের দায়ও দেখছেন সাবেক এ কর্মকর্তা। 

বলেন, ‘আমাদের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে তখন সোনালি মুরগিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়নি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তখন তেমন কিছু করেননি।’   

২০১৪ সালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের রাজশাহীর বিভাগীয় উপ-পরিচালক হিসেবে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেন শাহ জামাল। সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার চোড়িয়া উজির গ্রামে গড়েছেন রাশেদ পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি। এখানেই বর্তমানে গবেষণার কাজ করেন তিনি। 

শাহ জামাল বলেন, গ্রামের বাড়ির পৈত্রিক সম্পত্তিতে রাশেদ পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি গড়ে তুলি। সেখানে এখন গবেষণার কাজ করছি। সোনালিকে ইতোমধ্যে তিনটি রূপ দিয়েছি। প্রথমটি হচ্ছে সোনালি, দ্বিতীয়টি ক্লাসিক সোনালি এবং তৃতীয়টি হাইব্রিড সোনালি।

সোনালি মুরগির ডিম / ছবি- ঢাকা পোস্ট

স্বীকৃতি দেবে- বলছে অধিদপ্তর 

শাহ জামালের অবদানের বিষয়ে কথা হয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে জানান, অবদানের জন্য তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

‘শাহ জামাল জয়পুরহাট পোল্ট্রি ফার্মের দায়িত্বে ছিলেন। আমি সেখানে পরিদর্শনে গেছি। জয়পুরহাট সোনালির জন্য বিখ্যাত। আমরা চাইছি আমাদের যে অর্জন, সেটা সামনে নিয়ে আসার জন্য। এক্ষেত্রে তথ্যগুলোর মধ্যে যাতে কোনো ঘাটতি না থাকে, সব সন্নিবেশিত করে আমরা এটা সামনে নিয়ে আসব। আমরা তাকে স্বীকৃতি দেব।’ 

সোনালি এ দেশেরই, চালান হবে প্রচারণা

সোনালি বাংলাদেশের পরিমণ্ডলে উদ্ভাবিত একটি শঙ্কর জাতের মুরগি। দেশি মাংসের মুরগি হিসেবে জাতটি বিশেষভাবে সমাদৃত। তবে এটি পাকিস্তানি বলেই জানেন দেশের বেশির ভাগ মানুষ। এ ভুল ভাঙাতে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে নেওয়া হয়েছে উদ্যোগ। 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষয়টি আমরা জনসমক্ষে নিয়ে আসব।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোনালি মুরগির জাত একেবারেই আমাদের নিজস্ব উদ্ভাবন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ জাত উদ্ভাবন করেছে। যদিও এর পরিচিতি নিয়ে বাজারে কিছুটা বিভ্রান্তি রয়েছে। বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের উদ্ভাবন করা সোনালি মুরগির পরিচিতি নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার জন্য আমরা প্রচার-প্রচারণার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। এর ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করি সোনালি মুরগির পরিচিতি নিয়ে বিভ্রান্তি শিগগিরই দূর হয়ে যাবে।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে এ খাতের গবেষণা ও উদ্ভাবনে তিনি নিয়মিত প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বাধীন সরকার প্রাণিসম্পদ খাতের যেকোনো উদ্ভাবনে সবধরনের সহায়তা ও স্বীকৃতি দেবে।’

এসএইচআর/জেডএস