দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিদায়ী চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘আমার চেষ্টা ছিল প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুদককে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। আমি চেষ্টা করেছি। তবে আমি তৃপ্ত নই। জনগণের আস্থার প্রতিদান সেভাবে দিতে পারিনি। জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। তবে একটি বার্তা দিতে পেরেছি যে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’

সোমবার (৮ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলন তিনি এ মন্তব্য করেন। বিসিএস ১৯৮১ ব্যাচের কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদ ২০১৬ সালের ১০ মার্চ দুদক চেয়ারম্যান হিসাবে তৎকালীন চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামানের স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি দুদকের চতুর্থ চেয়ারম্যান হিসাবে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) তার মেয়াদ শেষ করবেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালের জুন মাসে পদোন্নতি পেয়ে সচিব হন ইকবাল মাহমুদ। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের (বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) সচিব করা হয়। এরপর ২০১২ সালে সরকার ‘সিনিয়র সচিব’ নামে নতুন পদ সৃষ্টি করলে আরও সাতজনের সঙ্গে ইকবাল মাহমুদও ওই পদ পান। সে সময় তিনি ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব। ওই বছর নভেম্বরে তিনি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) বিকল্প নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পান।

২০০৪ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হলে বিচারপতি সুলতান হোসেন খানকে চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৭ সালে এক এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সাবেক সেনাপ্রধান হাসান মশহুদ চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর হাসান মশহুদ চৌধুরী পদত্যাগ করার পর চেয়ারম্যানের শূন্যপদে নিয়োগ পান সাবেক সচিব গোলাম রহমান। 

আরএম/ওএফ