চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, দেশের প্রায় ৫১ ভাগ জনগোষ্ঠী নারী। সমাজকে প্রগতির পথে এগিয়ে নিতে হলে নারী প্রকৌশলীদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। স্বাধীনতার পর নারী শিক্ষার উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে সবচেয়ে বেশি অবদান জননেত্রী শেখ হাসিনার। 

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় মেয়র বলেন, বিশ্বব্যাংক যখন পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে গিয়েছিল তখন বঙ্গবন্ধুকন্যার দৃঢ়চেতা নেতৃত্বগুণে মাত্র ৮ বছরে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। ২০০৮ সালে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তার সততা ও দেশপ্রেমের কারণে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। 

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা শহর থেকে রাতে তৎকালীন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বর্তমান চুয়েট) এসে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা সাজাতাম। এখান থেকেই আমরা কাপ্তাইসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছি। এই চুয়েট ক্যাম্পাসেও মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদদের পবিত্র রক্ত ঝরেছে। চুয়েটের ছাত্ররাও দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের জনগোষ্ঠীর অর্ধেক নারী। অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে অবহেলা করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী সেই গুরুত্ব উপলব্ধি করে সরকারি সব কাজে বাবার নামের পাশাপাশি মায়ের নামও সংযুক্ত করে দিয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের জয়জয়কার। রাজনীতি-অর্থনীতির পাশাপাশি প্রশাসন থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃত্ব সবখানেই নারীরা তাদের মেধা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। নারীর সার্বিক উন্নয়নে পুরুষের সহযোগিতা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি কার্যকর ভূমিকা রাখে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নমূলক কার্যকলাপ কঠোরভাবে দমনের লক্ষ্যে গঠিত অভিযোগ কমিটির আহ্বায়ক ও চুয়েটের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসাম্মৎ রোকসানা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিটির সাবেক আহ্বায়ক ও চুয়েটের প্রথম নারী অধ্যাপক এবং পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার। 

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়েটের গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোছাম্মৎ তাহমিনা আক্তার। অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন শামসেন নাহার খান হলের প্রভোস্ট ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাজিয়া সুলতানা এবং সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোছা. ফারজানা রহমান জুথীসহ আরও অনেকে।

কেএ