গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনের পুনঃতারিখ মঙ্গলবার
বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনের পুনঃতারিখ আগামী মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য ওই দিন কমিশন সভা ডেকেছে সংস্থাটি।
ইসির সংস্থাপন-২ শাখার উপ-সচিব মো. শাহ আলমের জারি করা এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
সভার অফিস আদেশে বলা হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে ইসি সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে (কক্ষ নং-৫২০) নির্বাচন কমিশনের ১০তম সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভার আলোচ্যসূচি
বিজ্ঞাপন
(ক) বন্ধ ঘোষিত একাদশ জাতীয় সংসদের ৩৩ গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের নির্বাচন;
(খ) কমিশন সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন;
(গ) বিবিধ।
গত বৃহস্পতিবার সিইসি জানিয়েছিলেন, এই সপ্তাহে গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনের পুনঃতারিখ ঘোষণা করা হবে। তবে বন্ধ ঘোষিত নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তারাই প্রার্থী হিসেবে বহাল থাকবেন।
গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণের পর সিইসি প্রথমে ৫০টি কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা ঘোষণা করেন। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তাও পরে একটি কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেন। পরে ভোটগ্রহণের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি। এরপর গঠিত তদন্ত কমিটি ৬৮৫ জনের শুনানি করে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পায় ওই ৫১ কেন্দ্রে। এছাড়া অবশিষ্ট কেন্দ্রগুলোর সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখে অনিয়মের প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি।
পরবর্তী সময়ে সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গাইবান্ধার এক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচ এসআই, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বরখাস্ত করাসহ বিভিন্ন শাস্তির সিদ্ধান্ত দেন। ওই সকল কর্মকর্তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ শাস্তি বাস্তবায়ন করে আগামী এক মাসের মধ্যে ইসিকে অবহিত করার নির্দেশও দেয় নির্বাচন কমিশন।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হলেন- মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (বিকল্প ধারা), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র)।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি দু’টি উপজেলা নিয়ে এ সংসদীয় আসন গঠিত। এতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ফুলছড়ির সাতটি ইউনিয়নে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ জন এবং সাঘাটার ১০টি ইউনিয়নে ২ লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন।
এসআর/এসএম