ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক কাউন্সিলর আলেয়া সারোয়ার ডেইজি ও দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাহমুদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্ব একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

সাবেক কাউন্সিলর আলেয়া সারোয়ার ডেইজি সংরক্ষিত ১২ আসনের কাউন্সিলর ছিলেন। ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এর আগে একই অভিযোগে ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন পর্যায়ের ডজনখানেক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তিনটি ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ছয় প্রতিষ্ঠানের নথিপত্র তলব করে এর আগে চিঠি দিয়েছিল সংস্থাটি।

ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ছয়টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে— এমন অভিযোগে তাকসিম এ খানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন জমা পড়ে। পরে দুদকের এখতিয়ার বলে আদালত রায় দেয়। ওই আবেদনের সূত্র ধরেই দুদকে আরও একটি অনুসন্ধান শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে ওয়াসার পদ্মা জশলদিয়া প্রকল্পে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা, গন্ধবপুর পানি শোধনাগার প্রকল্পে ১ হাজার কোটি টাকা, দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্পে ১ হাজার কোটি টাকা, গুলশান বারিধারা লেক দূষণ প্রকল্পে ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতিসহ আরও কয়েকটি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পান প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। এরপর ধাপে ধাপে সময় বাড়িয়ে তিনি এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। বিতর্কিত তাকসিম এ খানের পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো, ঠিকাদার নিয়োগে সিন্ডিকেট, ঘুষ লেনদেন, পদ সৃষ্টি করে পছন্দের লোক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, অপছন্দের লোককে ওএসডি করাসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে।

আরএম/এসএসএইচ/