নিরাপদ খাদ্য গ্রহণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান
নিরাপদ খাদ্য গ্রহণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সার্ক অ্যাগ্রিকালচার সেন্টারের পরিচালাক ড. মো. বখতিয়ার হোসাইন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের বসবাস। বেঁচে থাকার তাগিদে প্রতিদিনেই তাদের খেতে হচ্ছে। কিন্তু সেই খাদ্য কতটা নিরাপদ তা অনেকেরই জানা নেই। বাঁচতে হলে শুধু খাওয়া নয়, নিরাপদ খাদ্যও খেতে হবে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জহুরী মহল্লায় দুই দিনব্যাপী নিরাপদ খাদ্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এ মেলার আয়োজন করেছে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা তিন সংগঠন—কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), ওয়েল্টহাঙ্গারহিলফে এবং ফ্রেন্ডস ই ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ (এফআইভিডিবি)।
মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সার্ক অ্যাগ্রিকালচার সেন্টারের পরিচালাক ড. মো. বখতিয়ার হোসাইন। তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে নানান ধাপ পেরিয়ে যখন আমাদের প্লেটে আসে, তখন সেটা কতটা নিরাপদ থাকে? আমাদের লক্ষ্য হলো খাওয়া। কিন্তু সেটা কি আদৌ নিরাপদ, সে বিষয়ে কোনো ধারণা রাখি না। তবে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে ভোক্তা সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। যার কারণে মানুষ এখন শুধু পেট ভরে খেতে চায় না, বিশুদ্ধ খাবারও চায়।
বিজ্ঞাপন
ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবীর ভূঁইয়া বলেন, গ্রামের ছেলে হিসেবে ছোটবেলায় খাবার জন্য শুধুমাত্র লবণ কিনতে হতো। আর আজকে সব কিছুই কিনে খেতে হয়। যার কারণে খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। কিন্তু ক্ষেত থেকে পাত পর্যন্ত যদি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে না পারা যায়, তাহলে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত হবে না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এফআইবিডির সিনিয়র প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর ফকরুল ইসলাম চৌধুরী, ওয়েল্টহাঙ্গারহিলফের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (বাংলাদেশ) মামুনুর রশিদ, সার্ক অ্যাগ্রিকালচার সেন্টারের সিনিয়র টেকনিক্যাল অফিসার ড. মো. ইউনুস আলী, ওয়েল্টহাঙ্গারহিলফের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ভারত) অংশুমান দাস, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (খাদ্য, শিল্প ও উৎপাদন) প্রফেসর ড. আব্দুল আলীম ও ক্যাবের অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রামার মারুফা কলি।
এমএইচএন/কেএ