মশা নিয়ন্ত্রণে অঞ্চলভিত্তিক সমন্বিত অভিযানে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের খাল পরিষ্কার রাখতে হবে। মেহেরবানি করে খালে আপনারা কোনো ধরনের ময়লা-আবর্জনা ফেলবেন না। খাল যত বেশি প্রবাহমান থাকবে মশার লার্ভা তত কম হবে। 

সোমবার (৮ মার্চ) মশা নিয়ন্ত্রণে অঞ্চলভিত্তিক সমন্বিত অভিযানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মেয়র পল্লবীর সাগুফতা খাল, ইনডোর স্টেডিয়াম, মিরপুর সেকশন-৬, মিল্কভিটা, মিরপুর-১৩ নম্বর এলাকা পরিদর্শন করেন।

মেয়র আতিক বলেন, ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলে ৫৪টি ওয়ার্ড আছে। ইতোপূর্বে ওয়ার্ডগুলোতে সকালে মশার লার্ভিসাইড এবং বিকেলে এডাল্টিসাইড দেওয়া হতো। আমরা কীটতত্ত্ববিদদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী টোটাল সিস্টেমটাকে পরিবর্তন করছি। এটি অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আমরা এখন অঞ্চলভিত্তিক মশক নিধন করব।

তিনি বলেন, মশক নিধনে আজ এসেছি অঞ্চল ২-এ। এখানে আমাদের আটটি ওয়ার্ড আছে। আটটি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ৬০ জন করে মশককর্মী দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে আমরা মশার প্রজননস্থলের সর্বত্র ‘টোটাল সুইপিং’ করতে চাই। এজন্য আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগ ও বর্জ্য বিভাগ একত্রে কাজ করছে। আমরা কালকে যাব অঞ্চল ৪-এ। অঞ্চল ৪ শেষ করে অঞ্চল ৫-এ। এভাবে আমরা কাজগুলো করছি এবং দেখতে চাচ্ছি কী রেজাল্ট হয়।

আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, আজ অভিযান শুরু করেছি। দশটি অঞ্চলে দশদিন কাজ করবো। মশক নিধনের সব লোকজন, সব ধরনের ইকুইপমেন্ট এখানে নিয়ে এসেছি। এ অভিযান নিয়ে রাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে আমরা মিটিং করবো। অভিযান থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীকাল ভালো করবো। আমরা বসে নেই। আমি সবার সহযোগিতা চাই।

অভিযানে মেয়রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান, তাইজুল ইসলাম চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।

এএসএস/আরএইচ