কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। পরবর্তী সংসদ অধিবেশনে আইন পাস হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শুরু করতে পারবে।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০২১-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিসভা সম্মেলন কক্ষ থেকে যুক্ত দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

এর আগে গত বছর ২১ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। আইন মন্ত্রণালয় থেকে খসড়ার আইনি যাচাই (ভেটিং) শেষে মঙ্গলবার মন্ত্রিসভায় উত্থাপন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

কুড়িগ্রামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রেক্ষাপটে বলা হয়েছে পিছিয়ে পড়া এ অঞ্চলের কৃষিকে অগ্রাধিকার দিতে এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন। কৃষি, পশু ও মৎস্য বিভাগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করবে।

চলতি বছরের ৪ মে গণভবন থেকে রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম জেলার সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‌কুড়িগ্রামে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। এটি আমার আইডিয়া। আমি বলেছি, হয়ে যাবে। এ নিয়ে আইন পাস করে দেব আমরা। চিলমারী বন্দরের কাজ আমরা শুরু করেছি। করোনার কারণে কাজ আটকে আছে। এছাড়া নদীগুলো ড্রেজিং করা হবে। কুড়িগ্রামের উন্নয়নে অনেক প্ল্যান নেওয়া আছে। আমি চাই কুড়িগ্রামের মানুষ ভালো থাকুক। আর মঙ্গা যেন কুড়িগ্রামে ফেরত না আসে।

কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হবে ৪৯টি। বর্তমানে ৪৮টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু দিন আগে উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১০৭টি।

বৈঠকে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন, সরকারি ঋণ আইন ও পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেমস আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এনএম/ওএফ