মালয়েশিয়া থেকে দেড় লাখের মতো কর্মীর চাহিদা পাওয়ার পরও দেশটিতে কর্মী গেছেন মাত্র ৩০ হাজার। চাহিদাপত্র পাওয়ার পরও কাঙ্ক্ষিত কর্মী না পাঠানোর পেছনে সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবস নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি।

আরও পড়ুন : ‘চুক্তি করলাম, তারপরও তো মানুষ যাচ্ছে না’

আনিসুল ইসলাম বলেন, আমাদের ১ হাজার ৬০০ রিক্রুটিং এজেন্সি আছে। তার মধ্যে ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর অনুমতি আছে। দেড় লাখের মতো লোকের চাহিদা পাওয়া গেছে। কিন্তু এ পর্যন্ত কর্মী গেছে মাত্র ৩০ হাজার। এত কম লোক যাওয়ার কারণ হচ্ছে,সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটের কারণেই এ অবস্থা।

আরও পড়ুন : মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেট নিয়ে যা বললেন সারাভানান

সংসদীয় কমিটির সভাপতি বলেন, মালয়েশিয়া নতুন সরকার আসছে। মন্ত্রণালয়কে বলব, সব এজেন্সির জন্য শ্রমবাজার খুলে দেওয়ার জন্য। এর মধ্যে তারা (মালয়েশিয়া) যাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে চাইবে, তারা করবে।

দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়া। গত ১৯ ডিসেম্বর কর্মী প্রেরণের জন্য দেশটির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক বা এমওইউ স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। এরপরও রিক্রুটিং এজেন্সির অনুমতি নিয়ে নানা জটিলতার পর চলতি বছরের আগস্টের শুরুতে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে প্রথম ধাপে ৫৩ জনের একটি দল মালয়েশিয়ায় যায়।  

এনআই/এসকেডি