পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, কার্বন নিঃসরণ করা দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিলেও ক্ষতিপূরণ দেয় না। জলবায়ু সম্মেলনগুলোতে অধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পালন হয় না।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জলবায়ু পরিবর্তন ও তার প্রভাব বিষয়ক এক জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এম এ মান্নান বলেন, আমরা জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় রয়েছি। কারণ আমাদের কার্বন নিঃসরণের হার কম। কিন্তু যেসব দেশ বেশি কার্বন নিঃসরণ করে তারা বিভিন্ন সময় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে তা বাস্তবায়ন করেনি।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমার সমস্যা আমাকেই সমাধান করতে হবে। আমার সুরক্ষার দায়িত্ব আমাকেই নিতে হবে। আর এই সমস্যার সমাধানের জন্য প্রয়োজন সক্ষমতা বাড়ানো। আগের তুলনায় আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়েছে। মানুষের অভিযোজন ক্ষমতা বেড়েছে, সেটিকে আরও বাড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে মানুষ ও ফসল রক্ষার জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ নিচ্ছে ও সামনের দিনেও নেবে। আমরা প্রতি বছর কোটি টাকা ব্যয় করছি বাঁধ নির্মাণে, নদী শাসনে। সবার আগে আমাদের খাদ্য ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে হবে বলেও তিনি এসময় মন্তব্য করেন।

সম্মেলনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রভাবে প্রতি বছর ৫০ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণ শরণার্থী হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব জনজীবনে দীর্ঘমেয়াদি। তবে আমরা দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি কপ সম্মেলনে দেশগুলো ৩০ শতাংশ জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদনের কথা বলেছিল। বাংলাদেশ সে লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে। আমরা মাত্র তিন শতাংশ বিদ্যুৎ পাচ্ছি সোলার প্যানেল থেকে। যেখানে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ শতাংশ। তবে আমাদের সুযোগ আছে, পথ আছে কিন্তু সমন্বিত পরিকল্পনা করা হয়নি।

সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম প্রমুখ।

এসআর/এসএসএইচ/