চাঞ্চল্যকর রাকিব হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন নিহত রাকিবের বাবা।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিহতের বাবা ও মামলার বাদী দীল মোহাম্মদ খান এ অভিযোগ তোলেন। এ সময় নিহত রাকিবের মা শিউলী বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দীল মোহাম্মদ খান বলেন, ২০১৯ সালের ৬ জুলাই হাতিরঝিলে স্কুলছাত্র রাকিবকে খুন করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই প্রভাবশালী একটি মহল তাদের ক্ষমতা ও অর্থ ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডটিকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এটি যে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড তা স্পষ্ট।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার অসহযোগিতা ও গাফিলতির কারণে মামলার এজাহার থেকে শুরু করে এই হত্যার রহস্য উদঘাটন, কোনো কিছুই যথাযথভাবে হয়নি। শুধু তাই নয়, হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ মামলার এজাহার পরিবর্তন করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সড়ক দুর্ঘটনার মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন।

দীল মোহাম্মদ খান অভিযোগ করেন, রাকিবকে হত্যার পর প্রথমে সাদী নামে এক যুবককে পুলিশ আটক করে। পরে পুলিশ তার জবানবন্দি না নিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। পুলিশ মামলার তদন্ত দায়সারাভাবে করছে।

তিনি জানান, একজন আসামির প্রলোভনে ও মিথ্যা জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে তদন্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করেননি।

সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার সূত্রপাত তুলে ধরে নিহত রাকিবের বাবা বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িতরা রাকিবের গাড়িটি পাঁচ হাজার টাকায় প্রতিদিন ভাড়া দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু রাকিব কোনোমতেই তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তাদের মাদক ব্যবসার তথ্য রাকিব জানত। তাদের তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা থেকেই পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে খুন করা হয়।

তিনি জানান, রাকিবকে এর আগেও একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনার মামলাটি পিবিআই তদন্ত করার কারণে পুনরায় আদালতের স্মরণাপন্ন হওয়ার পাশাপাশি আদালতে নারাজি আবেদন করেন তিনি। পরে ঢাকা সিএমএম আদালত তথ্যউপাত্ত বিশ্লেষণ করে মামলাটি র‌্যাব-৩-কে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন দীল মোহাম্মদ খান।

একে/এসএসএইচ