এক সময়ের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। বর্তমানে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভূমিকা রাখতে কাজ করছেন। ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে চালু করেছেন ‘ইনস্পায়ার ফিটনেস বাই সোহেল তাজ’ নামের শরীরচর্চা কেন্দ্র। এ শরীরচর্চা কেন্দ্রে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকেলে হাজির হন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। সোহেল তাজের কাছ থেকে ব্যায়াম শিখছেন তিনি। 

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি জানান, ‌‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। ফিটনেস বজায় রাখতে বয়স কোনো ব্যাপারই না। অফিস শেষ। সোজা চলে এসেছি ফিটনেস সেন্টারে। আমার ফিটনেসের প্রশিক্ষক সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, গাজীপুর–৪ (কাপাসিয়া) থেকে পরপর দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।'

এ বিষয়ে সোহেল তাজ বলেন, উনি (ডা. এনামুর রহমান) নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ও ঠিক রাখার জন্য নিজে উদ্যোগ নিয়েছেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা যদি নিজেকে সুস্থ রাখতে পারি তাহলে পরিবারের জন্য সহায়ক হবো, আর যদি অসুস্থ হই তাহলে এর পরিবর্তে বোঝা হবো।

বর্তমানে কয়েক কোটি মানুষ শহরে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা যারা জিমে যেতে পারবেন তারা যান। শহরকেন্দ্রিক হওয়ার কারণে আমাদেরকে কায়িক পরিশ্রম করতে হয় না। কিন্তু কায়িক পরিশ্রম স্বাস্থ্যের জন্য দরকার ও উপকারী। কিন্তু সেটা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। তাই শরীরকে সতেজ ও অ্যাক্টিভ রাখতে জিমে যেতে হবে।

তাজ বলেন, প্রতিমন্ত্রীর উদাহরণ দেখে আপনারাও উদ্বুদ্ধ হবেন। ভবিষ্যতে নিজের জীবন সুস্থ রাখার জন্য এবং আপনার পরিবারের স্বার্থে ব্যায়াম করুন। এটা কোনো বয়সের ব্যাপার নয়। যেকোনো বয়সেই শুরু করা যায়। যেকোনো বয়সে শুরু করলে আপনি সুস্থতা পাবেন।

সোহেল তাজ আরও বলেন, জনপ্রতিনিধিরা নিজে সুস্থ থাকলে মানুষের সেবা করতে পারবেন। তিনি (ডা. এনামুর রহমান) সেই নিয়ত নিয়েই শুরু করেছেন। এজন্য নিজের ইচ্ছে থাকতে হবে, ইচ্ছে জাগাতে পারলে সবকিছুই সম্ভব। 

এসময় ডা. এনামুর রহমান বলেন, এখানে এসে আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। ফেসবুকে আপনার (সোহেল তাজ) বক্তব্য ও কার্যক্রমগুলো দেখেছিলাম। সেখানে আপনি বলেছিলেন বয়স ব্যাপার নয়। এজন্য আমি উদ্বুদ্ধ হয়েছি ও এখানে এসেছি। যতই ব্যস্ত থাকি না কেন, আমি এখানে আসব।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন যে খাবার কম খাবে, ফিট থাকবে। তোমার উপর অনেক দায়িত্ব। দেশের অনেক কাজ করতে হবে, অনেকদিন বাঁচতে হবে।

এসএইচআর/ওএফ