বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তিন ভাষায় অনুবাদ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আইরিশ, স্কটিশ ও ওয়েলশ ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। এ তিন ভাষায় করা অনুবাদ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশনে এই ভাষণ প্রকাশ করা হয়।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এ বিশেষ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন।
বিজ্ঞাপন
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের বিশেষ উদ্যোগে ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিন, হ্যারিয়ট-ওয়াট ইউনিভার্সিটি, স্কটল্যান্ড ও ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলস ট্রিনিটি সেন্ট ডেভিড কলেজের ভাষা বিশেষজ্ঞরা এ অনুবাদ করেছেন।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, মিনিস্টার ফর ইউরোপ ও আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী থমাস বায়ার্ন ও ওয়েলসের ফার্স্ট মিনিস্টার মার্ক ড্রেকফোর্ড।
বিজ্ঞাপন
হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনেস্কোর সাবেক পরিচালক ইরিনা বোকোভা, যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল, সংস্কৃতি, মিডিয়া ও ক্রীড়া সম্পর্কিত হাউস অব কমন্স সিলেক্ট কমিটির সভাপতি জুলিয়ান নাই, যোয়ানা চেরি কিউসি, সারাহ বয়াক এমএসপি, সোয়াসের শৈল্পিক পরিচালক ড. সংযুক্তা ঘোষ, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলস ট্রিনিটি সেন্ট ডেভিডের উপাচার্য প্রফেসর মেডউইন হিউজেস ও প্রফেসর মেনা এলফিন, হেরিয়ট-ওয়াট বিশ্ববিদ্যালয়, স্কটল্যান্ডের প্রফেসর স্যার জেফ পালমার, ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিনের আইরিশ ও কেল্টিক স্টাডিস বিভাগের প্রধান ডা. ইওন ম্যাক কর্থেই ও গ্লোবাল রিলেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর জুলিয়েট হোসি, স্কটিশ ভাষা ও ইতিহাস বিশেষজ্ঞ ড. ডানকান স্টুয়ার্ট স্নেডন, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির সিনিয়র প্রতিনিধি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও নঈম উদ্দিন রিয়াজ।
মোড়ক উন্মোচনের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিশেষ অনুবাদ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের গুরুত্ব আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের মানুষের কাছে তুলে ধরবে।’
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সময় নিজের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার এ ভাষণ শুধুমাত্র নিপীড়িত-নির্যাতিত বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের দিকনির্দেশনা হিসেবেই নয়, ইউনেস্কোর ‘ডেমোক্রেসি হেরিটেজ অব ম্যানকাউন্ড’ এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে বিশ্বের সকল নিপীড়িত ও মুক্তিকামী মানুষের অসীম প্রেরণার উৎস হয়েও থাকবে।
হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ অনুবাদের মাধ্যমে আইরিশ, স্কটিশ ও ওয়েলশ ভাষায় সর্বপ্রথম বাংলা ভাষার কোনো ঐতিহাসিক দলিলের অনুবাদ প্রকাশ করতে পেরে বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত।’
হাইকমিশনার জানান, এ তিন ভাষায় ৭ মার্চের ভাষণের অনুবাদ প্রকাশনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ জাতিসংঘের সব কয়টি দাপ্তরিক ভাষাসহ মোট ১৭টি ভাষায় প্রকাশিত হলো।
মিনিস্টার ফর ইউরোপ ও আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী থমাস বায়ার্ন বলেন, ‘আইরিশ ভাষায় ৭ মার্চের ভাষণের অনুবাদের মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডের মানুষ বাংলাদেশের জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণ ও তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস সম্পর্কে আরও জানতে পারবে।’
ওয়েলসের ফার্স্ট মিনিস্টার মার্ক ড্রেকফোর্ড বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণ ওয়েলশ ভাষায় প্রকাশিত হওয়ায় ওয়েলসের জনগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস ও বাংলাদেশের জাতির পিতা সম্পর্কে আরও বেশি করে জানার ব্যাপারে উৎসাহিত হবে।’
এনআই/এসএসএইচ