চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই কয়েদির মৃত্যুর ঘটনায় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সেই দুই কয়েদির মৃত্যুর পেছনে প্রকৃত ঘটনা কী? এ ঘটনায় কারো কোনো অবহেলা কিংবা নির্যাতনের বিষয় জড়িত ছিল কি না তা তদন্তের প্রয়োজন বলে মনে করছে সংস্থাটি।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দুই কয়েদির মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে আহ্বান জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক সুস্মিতা পাইকের সই করা অভিযোগের ওই চিঠিতে বলা হয়, চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের দুই কয়েদির মৃত্যু হয়। তারা হলেন, আব্দুস শুকুর ও রফিকুল ইসলাম। রোববার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের উন্নত চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রাত দেড়টার দিকে তাদের মৃত ঘোষণা করেন। 

মারা যাওয়া শুকুর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগঞ্জ থানার দক্ষিণ মোহরার এবং রফিকুল ইসলাম ওরফে হাতকাটা রফিক হালিশহরে থানার ছোটপুল এলাকার বাসিন্দা। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে পাঠানো ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে কয়েদিদের মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখিত ঘটনায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের দুই কয়েদির মৃত্যুর পেছনে প্রকৃত ঘটনা কী ছিল? কারো কোনো অবহেলা কিংবা নির্যাতনের বিষয় জড়িত ছিল কি না তা তদন্ত করা প্রয়োজন মর্মে কমিশন মনে করে।

এ অবস্থায় বিষয়টি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। 

জেইউ/কেএ