মুজিববর্ষে মিল্কভিটার সক্ষমতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির সবাইকে ঐক‍্যবদ্ধভাবে কাজ করার অন্যও জোরালো আহবান তিনি।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) দুপুরে তেজগাঁওয়ে দুগ্ধ ভবনে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্কভিটা) সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শিশু পুষ্টির অভাব পূরণ ও মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশে দুগ্ধজাতপণ‍্য উৎপাদন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশ একটি স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছিল। একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে বাঙালিরা যাতে মেধাসম্পন্ন মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সেজন্যই সমবায়ভিত্তিক মিল্কভিটা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার যুগান্তকারী পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম ছিল এই মিল্কভিটা।  

আলোচনা সভা শেষে মিল্কভিটার প্রধান কার্যালয়ের সম্মুখে বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। এসময় তিনি বলেন, ভোক্তাদের নিরাপদ ও বিশুদ্ধ দুধ সরবরাহের পাশাপাশি দেশের দুগ্ধজাত পণ্যের মোট চাহিদার বড় অংশ সরবরাহ করছে মিল্কভিটা। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিল্কভিটার দুগ্ধ সংগ্রহ থেকে প্রক্রিয়াজাত পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্যসম্মত, নিরাপদ দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় মিল্ক ইউনিয়ন বৈচিত্র্যময় পণ্যসামগ্রী বাজারজাত করছে। যেমন: মাঠা, পনির, লাবাং, রসগোল্লা, প্যারা সন্দেশ, রসমালাই, চকোলেট, ফ্লেভার্ড মিল্ক ইত্যাদি। এ ছাড়া বর্তমানে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদনে সচেষ্ট রয়েছে।

বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. রেজাউল আহসান, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমর চান বনিকসহ মিল্কভিটার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসএইচআর/ওএফ